ট্যাটু সম্পর্কিত বিস্ময়কর যত তথ্য
বর্তমান বিশ্বে ট্যাটুর জনপ্রিয়তা যেন দিনকে দিন বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যেন ট্যাটুতে মুগ্ধ হয়েছ। আর তাইতো শরীরের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি মুখ এমনকি কানসহ শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানেও ট্যাটু করতে দ্বিধাবোধ করছে না। তবে ট্যাটুপ্রেমীরা কি আদৌ এর ইতিহাস জানে?
অস্বীকার করার উপায় নেই যে এর একটি ফ্যান্টাসটিক ইতিহাস রয়েছে। আকুপাংচারের মতো নিরাময়ের একটি ফর্ম আজকের ট্যাটু শিল্প রূপে বিকশিত হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে যখন থেকে এর প্রচলন ঘটেছে তখন এর ধারক ছিলেন নাবিকরা। কিন্তু ১৯৭০ এর দশকে এটি পশ্চিমা দুনিয়াই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বর্তমানে তো উল্কিপাড়াগুলো পূর্বের তুলনায় আরো সরগরম হয়ে উঠেছে। অনেকে তো আবার উল্কি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে এ বিষয়ে পড়ালেখা শিখছেন। ট্যাটু সম্পর্কিত আরো বিষ্মকর তথ্য জেনে নিন-
১. বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো ট্যাটুটি আবিষ্কৃত হয়েছে খ্রীষ্টপূর্ব ৩৩৭০ এবং ৩১০০ সনের দিকে। ওজি দ্য আইসম্যান নামক ওই ব্যক্তির শরীরে মোট ৬১ টি ট্যাটু ছিলো। আর সেগুলো কার্বনের কালিতে ডট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিলো।
২. ১৮৯১ সালে স্যামুয়েল ও রেলি প্রথম ইলেক্ট্রিক ট্যাটু মেশিন আবিষ্কার করেন। তার তৈরি ট্যাটু গানের সম্মুখে কলমের ন্যায় সুঁই যুক্ত করা হয় এবং এতে কালি জমা থাকারও ব্যবস্থা ছিলো।
৩. একটি ট্যাটু গান প্রতি মিনিটে ৩ হাজার বার স্কিনের ১ মিলিমিটার পর্যন্ত ছিদ্র করে কালি ভরাট করে থাকে।
৪. বিশ্বের ৫৮ শতাংশ নারীর শরীরে অন্তত একটি ট্যাটু বিদ্যমান সে তুলনায় পুরুষের শতাংশ ৪১।
৫. গ্রেগরি পল ম্যাকলরেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি তার শরীরে প্রায় ১০০ শতাংশ ট্যাটু আঁকিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড এর খেতাব অর্জন করেছেন। সে তার মুখ, কান এমনকি চোখের পাতায় পর্যন্ত ট্যাটু করেছেন।
৬. পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ট্যাটু আর্টিষ্ট হলেন স্কট ক্যাম্পবেল। প্রতি ঘন্টায় তার ফি ন্যূনতম হাজার ডলার। এমনকি সে সপ্তাহের মাত্রিএকটি দিন উল্কি আঁকিয়ে থাকেন।
৭. বর্তমানে পৃথিবীর তিন দেশে ট্যাটু আঁকানো নিষেধ- ইরান, তূর্কি এবং আরব আমিরাতে।
৮. বিশ্বের সবচেয়ে দামি ট্যাটুর মূল্য ৯ লাখ ২৪ হাজার ডলার। এতে কোনো কালির ব্যবহার নেই। কারণ এটি ৬১৩ টি ডায়মন্ডের স্টোন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত এই ট্যাটুটির গ্রাহক হননি।
৯. গড়ে একটি ছোট ট্যাটুর মূল্য ৪৫ ডলার। অন্যদিকে, প্রকারভেদে বড় ট্যাটুর মূল্য প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ ডলার।
১০. বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডবাসী সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ট্যাটুর অধিকারী।