জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আর নেই

ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর (ইন্না লিল্লাহি…….. রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

২১ ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন পিআইবি মহাপরিচালক। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে তাকে হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

জ্যেষ্ঠ এ সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই কিছু জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এর মধ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি তার অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে সিএমএইচে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এর আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা করেছিলেন।

পিআইবির প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াও শাহ আলমগীর বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি এশিয়ান টিভির সিইও ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকার সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি কাজ করেছেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ, সংবাদ ও প্রথম আলোয়। কর্মজীবনে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন শাহ আলমগীর।

শাহ আলমগীরের পৈতৃক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬’, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)