ভিপিএন কতটুকু নিরাপত্তা দিতে সক্ষম?
নিরাপদ যোগাযোগ এবং ডাটা অ্যানক্রিপ্ট করার পদ্ধতি হিসেবে ভিপিএনের জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বেই রয়েছে। ভিপিএন ব্যক্তিগত মেশিনকে একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীর পাঠানো সব ডাটা দ্রুততার সঙ্গে এনক্রিপ্ট করে ফেলে অর্থাৎ পাবলিক ডোমেইন থেকে লুকিয়ে রাখে এবং এটা ব্রাউজিং হিস্টোরির কোনো ট্র্যাক রাখে না। কাজেই ব্যবহারকারী নিজেকে অনলাইনে পুরোপুরি নিরাপদ মনে করে। তবে সম্প্রতি ইয়াহু টেকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অনলাইন নিরাপত্তায় ভিপিএন সবসময় কার্যকর নয়।
তাহলে অনলাইনে থাকা অবস্থায় ভিপিএন কি শতভাগ নিরাপত্তা দিতে সক্ষম? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে ইয়াহু টেক। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাস্তবে ভিপিএনের ব্যবহার অনেক বেশি জটিল। ভিপিএনের মাধ্যমেও হাতিয়ে নেয়া যেতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য। সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে ওঠা এক অভিযোগে এমন তথ্যই জানা গেছে।
গত সপ্তাহে বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ফেসবুক নিজেদের তৈরি ‘ওনাভো’ নামের ভিপিএন অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারী ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ করে আসছে। বিষয়টি প্রকাশের পর ভিপিএনের ব্যবহার নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকদের দাবি, ভিপিএন সফটওয়্যার নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর। পাবলিক নেটওয়ার্কে বিশেষ এ সফটওয়্যারে এনক্রিপটেড গেটওয়ে ব্যবহার করা হয়। এ কারণে ইন্টারনেট সরবরাহকারী, কফি শপ, আবাসিক হোটেল কিংবা প্রতিবেশীর ওপেন ওয়াই-ফাই রাউটার কখনই একজন ভিপিএন ব্যবহারকারী অনলাইনে দীর্ঘসময় কী কাজ করছেন, সে বিষয়ে জানতে পারে না। তবে ওয়েব দুনিয়ায় ভিপিএনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় ট্র্যাক করা যাবে না, এমন দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
বিশ্লেষকদের তথ্যমতে, ভিপিএনের প্রয়োজনীয়তা এখন অনেকটাই কমে এসেছে। বেশির ভাগ ওয়েবসাইট তাদের সেবাগুলোকে এনক্রিপশন প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসছে। উইন্ডোজ চালিত ডিভাইস থেকে ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে অনুসন্ধান করলে যে পেজগুলো দেখানো হয়, তার ৮২ শতাংশ এনক্রিপটেড প্রযুক্তির আওতায় নিয়েছে গুগল। কাজেই ভিপিএন ছাড়াও ইন্টারনেটে আপনি কী করছেন, সে সম্পর্কে জানতে পারবে না ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।