শাহ আমানতে বিমান ছিনতাইকারী নিহত
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে দুবাইগামী ফ্লাইট ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিমানের ক্রুসহ সব যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক প্যারা কমান্ডো বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুলের নেতৃত্বে আট মিনিটের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে অংশ নেয় সেনা স্পেশাল ফোর্স, নৌ কমান্ডো, সোয়াত ও র্যাব সদস্যরা।
অভিযানের পর রাত পৌনে নয়টার দিকে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার (জিওসি) মেজর জেনারেল মতিউর রহমান চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিহত ছিনতাইকারীর নাম মাহাদী। তার বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৬ বছর। মাহাদীর কাছে একটি পিস্তল ছিল। কমান্ডোরা যখন উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ওই ছিনতাইকারীকে প্রথমে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়। তখন সে আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। তখন উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তার গুলাগুলি হয়। তখন সে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে নিহত হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানান, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জিম্মি সঙ্কটের অবসান ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে উদ্ধার অভিযানের সময় যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিটের ১১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় বলে জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন।
সূত্র জানায়, বিজি-১৪৭ নং ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। সাড়ে তিনটায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম আসার পথেই ওই ছিনতাইকারী পিস্তল হাতে বিমানের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ আমানতে অবতরণ করান।
ছিনতাইকারীর কবলে থাকাকালীন সময়ে দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের এমপি মঈন উদ্দীন খান বাদল। তিনি বলেন, ভেতরে একজন হাইজ্যাকার আছে। তিনি বাঙালি। বিমান থেকে সব যাত্রীকে নামানো হয়েছে।