আমার সাতক্ষীরার মানুষ কেন কষ্ট পাবে – মহান জাতীয় সংসদে এমপি রবি
‘যদি বরষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পূর্ণ্য দেশ’ এই কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে এবং জাতীয় সংসদে মাননীয় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রতি ধন্যবাদ ও পুনরায় ডেপুটি স্পীকার হওয়ায় ফজলে রাব্বি মিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহান জাতীয় সংসদে সাতক্ষীরার বিভিন্ন উন্নয়নের দাবী তুলে ধরে রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান সদর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এ সময় তিনি বলেন, দেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবেসে দেশের ১৭ কোটি মানুষ মন উজাড় করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৩০ ডিসেম্বর স্বতস্পুর্তভাবে নৌকায় ভোট দিয়েছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার ফলে বাংলার মানুষ চতুর্থবারের মত জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করেছে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা বাংলাদেশসহ আমার নির্বাচনী এলাকা সাতক্ষীরা সদরের মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করেছি। যারা আমাকে আবারও বিপুল ভোটের মাধ্যমে মহান জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছে তাদেরকে আপনার মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণসহ সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তার বক্তব্যে, সাতক্ষীরা পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন করার দাবী জানান, ভোমরায় এবং আগরদাঁড়িতে থানা দ্রুত নির্মাণ প্রসঙ্গ, সাতক্ষীরায় ট্রেন লাইন নির্মাণ দ্রুত করণ, সাতক্ষীরায় একটি বিশ^বিদ্যালয় করা, সাতক্ষীরায় ইকোনোমিক জোন স্থাপন করে শিল্প কলকারখানা তৈরী, সুন্দরবন এলাকায় ট্যুরিজম তৈরীর দাবী জানান। সাতক্ষীরার উন্নয়নে দাবীগুলির যৌতিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব, খাদ্য শস্য, মাছ, শাক-সবজি দেশ-বিদেশে রপ্তানী করে সরকারকে সহযোগিতা করার পরেও কেন আমার সাতক্ষীরার মানুষ কষ্ট পাবে? সাতক্ষীরার সকল উন্নয়ন কাজ ধীর গতিতে হয় বলে ও তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি, মুজিব আমার বাংলা জুড়ে চির সবুজ ছবি’ সবশেষে তিনি এই কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে মহান জাতীয় সংসদে ১২ মিনিটসহ অতিরিক্ত আরো ২ মিনিট বক্তব্য রাখেন।