আশাশুনি তালাক দেওয়া স্ত্রীর নাজেহালে উদ্বিগ্ন প্রবাসী স্বামী
আশাশুনি উপজেলার এক প্রবাসী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরও স্ত্রীর ষড়যন্ত্রে নাজেহালের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের মৃত আঃ ছাত্তারের কন্যা সালমা খাতুনের সাথে ২০১৪ সালে বাহাদুরপুর গ্রামের মাহমুদ আলির বিয়ে হয়েছিল।
বিয়ের পর স্বামী মাহমুদ ওমানে চলে যায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী শিক্ষক সালমা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের বিয়ের কাগজপত্র সরিয়ে ফেলে মাহমুদ আলিকে স্বামী হিসাবে মানতে রাজী ছিলনা। এছাড়া সালমা সন্তান প্রসবের পর মিথ্যা তারিখের কাগজপত্র দেখিয়ে ছুটি ভোগের অভিযোগ উঠলে সহকারী শিক্ষা অফিসার তখন তদন্ত করেছিলেন। তদন্তে তঞ্চকতা প্রমানিত হয়। পরবর্তীতে ঝালকাটি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার দঃ চেচরী গ্রামের ফেরদাউস হোসেনের সাথে সালমার বিয়ে হয়েছিল।
বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায় ম্যারিজ রেজিস্ট্রার মাওঃ মোঃ আঃ হাই এর মাধ্যমে ২৩/০৮/১৭ তাং বাংলাদেশ ডাক বিভাগ রেজিস্ট্রি রশিদ নং ৩৫৩ ও ৩৫৪ নং রেজিঃ ডাকযোগে ফেরদাউস হোসেন তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে ও ইউপি চেয়ারম্যান বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর পৃথক দুটি তালাকের নোটিশ প্রেরণ করেন। স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষন খরচ বাবদ তিনি ৪১৪২ নং মনি অর্ডার মারফৎ ২১/৯/১৭ তারিখে ২ হাজার টাকা এবং ২৮৮১ মানি অর্ডার মারফৎ ৭/১১/১৮ তাং ১ হাজার টাকা ও মনিঃ নং ৪২১৫ তাং ২১/১১/১৭ মারফৎ এক হাজার টাকা প্রেরন করেন।
কিন্তু সালমা টাকা গ্রহন করেননি বলে তিনি জানান। এতকিছুর পরও সালমা সম্প্রতি স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাদের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী দাবী করে স্বামীর সম্মান হানি ও নাজেহাল করার চেষ্টা করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে সালমার সাথে ০১৭২৭০৩৯৫৮৪ নং মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান।
বুধহাটা ইউপি সদস্য রেজওয়ান আলির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।