নানা অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের মূল হোতা দেবহাটার মোজাফ্ফার
এমন কোন অপকর্ম নেই যে সে করেনি, কখনও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ভাতিজা পরিচয়ে চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্য। আবার ম্যাজিস্টেট এর সই নকল করে ভুয়া ওয়ারেন্ট দেখিয়ে চাঁদা দাবী। নিজে মুসলমান হয়ে হিন্দু সেজে সনাতন ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করা। এমন শত অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত দেবহাটার মোজাফ্ফার হোসেন খোকন(৪৮)।সে দেবহাটা উপজেলার খাসখামার গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে। একাধিক জেল খাঁটা মামলার আসামী মোজাফ্ফার এলাকায় গড়ে তুলেছে তার একটি বাহিনী। আর সেই বাহিনী দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যর সহযোগিতায় অন্যর জমি জবর দখল করছে মোজাফ্ফার হোসেন খোকা। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে জানে মেরে ফেলার ও মিথ্যা মামলার ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।
এলাকার সোহেল ,আজিম ,মহব্বতসহ অনেকে জানান, কখনও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ভাতিজা আবার সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি পরিচয় দেন আবার বাণিজ্য মন্ত্রীর সই নকলসহ একাধিক অনৈতিক কাজ করে থাকেন মোজাফ্ফার হোসেন। সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে সচিবালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেবাহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মৃত আনছার আলীর মেয়ে আফরোজা খাতুনের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে চাকরি দিতে পারেনি মোজ্জাফার । চাকরির টাকা ফেরত চাইলেও তার টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে আফরোজাকে টাকা ফেরত না দিয়ে মারধর করে।এছাড়া নড়াইল জেলার সদরের জনৈক আজমল হোসেনের নিকট থেকে তার আত্মীয়র চাকরি দেওয়ার নাম করে মোজাফ্ফার ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া তালা উপজেলার আনসার আলীর মেয়েকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫৫ হাজার টাকা নেয়। তাছাড়া নিজেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ভাতিজা পরিচয় দিয়ে কাকরাইল মসজিদের খাদেম মাওঃ জমিরউদ্দীনের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এখাইেন ক্ষান্ত নয় মোজাফ্ফার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটয়ের আদালতের মোহর সহ গ্রেফতারি পরোয়ানা নকল করে সদর থানার ফিংড়ী উপজেলার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে সিরাজুল ইসলামকে বলে তার নামে মিরপুর থানায় মামলা আছে যার নাম্বার ২৮০। ওই মামলা থেকে তাকে বাঁচতে ২৫ হাজার টাকা দাবী করে মোজাফ্ফার। এছাড়া হিন্দু সেজে তালা উপজেলার বাইগুনি সাকিম গ্রামের মহেন্দ্রনাথ সরদারের মেয়েকে বিয়ে করে। মোজ্জাফার হিন্দু না এবিষয় জানাজানি হয়ে গেলে ওই মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দীর্ঘদিন আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা থানার পুলিশ যেয়ে ওই হিন্দু মেয়েকে উদ্ধার করে। এমনই নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে আছে মোজাফ্ফার হোসেন।
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে মোজাফ্ফারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি হিন্দু মেয়ে মুসলমান করে বিয়ে করেছি এখনও তার সাথে সংসার করছি।
এ বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব সাহা জানান,এবিষয়ে তিনি অবগতনন তবে থানায় এমন ধরনের কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলবে………