আশাশুনিতে ঘরে আগুন দিয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
আশাশুনি উপজেলার ধান্যহাটি গ্রামে পাকা ঘরে আগুন দিয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা শত্রুতামূলক ভাবে অগ্নি সংযোগ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ গাইনের কন্যা নাজমা খাতুন ও তার স্বামী আঃ রশিদ জানান, ধান্যহাটি গ্রামের মৃত ধর্মদাস চক্রবর্তীর ছেলে তাপস চক্রবর্তী ও দেবব্রত চক্রবর্তী দু’ ভাই মিলে দেবব্রত’র চাকুরির জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তাদের ভিটেবাড়ির নিকট থেকে জমি বিক্রয়ের চুক্তিতে সোনালী ব্যাংক আশাশুনি শাখার তাদের নামীয় দু’টি চেক মারফৎ গ্যারন্টি দিয়ে ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার ও ৫ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণ করেন। ৩ মাসের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা এবং না হলে ওই সময়ের মধ্যে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও না দেওয়ায় তিনি ১২/১২/১৮ তাং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নগদায়নের জন্য চেক জমা দিলে অপর্যাপ্ত বিবেচনায় চেক ডিজ অনার হয়। বাধ্য হয়ে তিনি সাতক্ষীরা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মোছাঃ বিউটি আফরোজা বানুর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ করিয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী দেবব্রত, তাপস এবং তাদের সহযোগি বাবুলাল অধিকারী, সুখলাল ও তার ভাইসহ তাদের লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী দিয়ে আসছিল। তাদের ভয়ে রশিদের পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত ও বাড়ি ছাড়া হতে বসেছে। ফলে অধিকাংশ সময় তারা বাড়িতে থাকতে পারেনা। বৃহস্পতিবারও তারা বাড়িতে ছিলনা। তাদের দুই ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আলামিন বাড়িতে জীবনের ঝুকি নিয়ে মাঝে মধ্যে থাকে। এদিন তারাও মামার বাড়িতে ছিল। রাতের আধারে কে বা কারা শত্রুতামূলক ভাবে ঘরের গ্রীলের তালা ভাংতে ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে জানালার থাই গ্লাসের এ্যাংগেল দুমড়ে ঘরের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দিলে খাট-পালঙ্গ, জাজিম. তশক, ৩৫ ইি এলইডি টিভি, দলিলপত্রসহ মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাব পুড়ে যায়। ঘরের দেয়ালের ও মেঝের টাইলস আগুনে নষ্ট হয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন।