ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ফেসবুক! ১০০ কোটি জাল অ্যাকাউন্ট রয়েছে ফেসবুকে। যা ফেসবুকের মোট গ্রাহকের ৫০ শতাংশ। আর এমনটাই দাবি করলেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের সহপাঠী অ্যারন গ্রিনস্প্যান।
সম্প্রতি অ্যারন গ্রিনস্প্যান ‘রিয়েলিটি চেক’ নামে ৭০ পাতার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। গ্রিনস্প্যানের প্রকাশ করা ওই রিপোর্টে তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ ফেসবুক। কেননা এখানকার নকল অ্যাকাউন্ট নিয়ে যে কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় গ্রাহকদের, তা এতদিন পরিষ্কার করে জানায়নি ফেসবুক।
ফেসবুকের যত প্রোফাইল রয়েছে তার ৫০ শতাংশই ভুয়া। এই জাল প্রোফাইলের মাধ্যমে ফেসবুকের অনেক গ্রাহকই প্রতারিত হয়েছেন, নকল খবর ছড়িয়েছে, বিভিন্ন দেশের প্রশাসনও এর ফাঁদে পড়েছে।
গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগে এমনিতেই দোষী ফেসবুক। তথ্য চুরির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অভিযোগ এক প্রকার স্বীকারও করে নিয়েছিল ফেসবুক।
পরে ফেসবুক দাবি করেছিল, স্পটিফাই, নেটফ্লিক্স, দ্য রয়্যাল ব্যাঙ্ক অব কানাডা-র মতো বেশ কিছু সংস্থাকে তারা গ্রাহকদের তথ্য দেখার অনুমতি দিয়েছিল। যদিও তা চুরি করা হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছিল ফেসবুকের পক্ষ থেকে।
গ্রিনস্প্যানের সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করে ফেসবুক জানিয়েছে দিয়েছে, দ্ব্যর্থহীনভাবে এই দাবি ভুল।
ফেসবুকের দাবি, মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ জাল অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যা গ্রিনস্প্যানের হিসাবের অনেক কম। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারকবার্গ একটি প্রতিবেদনও লেখেন।
সেখানে মার্ক জানান, এখনো কিছুটা খারাপ কনটেন্ট ফেসবুকে রয়ে গিয়েছে। তার জন্য দায়ী মানুষ এবং ফেসবুকের আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স সিস্টেমের গোলযোগ। আমাদের সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে।
যিনি এই রিপোর্ট বানিয়েছেন সেই গ্রিনস্প্যান একজন ফেসবুক সমালোচক বলেই পরিচিত। এর আগে তিনি নিজেকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বলে দাবি করেছিলেন। মার্ক জাকারবার্গের বন্ধু গ্রিনস্প্যান ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একই স্কুলে একসঙ্গে পড়তেন। গ্রিনস্প্যানের দাবি, ২০০৪ সালে হার্ভার্ডে থাকাকালীন তিনি প্রথম সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট চালু করেন। পরে সেটারই নকল করে মার্ক ফেসবুক নিয়ে আসেন। অথচ গ্রিনস্প্যানকে মার্ক তার প্রাপ্য মূল্য দেননি।