বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্য ’ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার’
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে যিশুখ্রিস্টের একটি মূর্তি রয়েছে। যেটাকে বিশ্বের বৃহত্তম আর্ট ডেকো মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দুই হাত ছড়িয়ে যিশু রিও ডি জেনেরিও শহরকে যেন আলিঙ্গন করছে। এই প্রতিকৃতির নাম ’ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার’।
বিশ্বের খুব বেশি মানুষের কাছে অচেনা বা অজানা নয় এই ভাস্কর্য। ব্রাজিল বিশ্বের বুকে বিখ্যাত তাদের ফুটবল, সাম্বা নৃত্য, আমাজন বন আর একটি বিশালাকার মূর্তি ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার জন্যই। যারা ব্রাজিলের ফুটবলের সাথে পরিচিত তারা ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের সাথে পরিচিত। ব্রাজিলের পরিচয় করিয়ে দিতে যদি কোনো ভাস্কর্যকে দেখানো হয় তবে একমাত্র এটির মাধ্যমেই সম্ভব। মূর্তিটি তার স্তম্ভের ভিত্তি ৮ মিটার (২৬ ফুট), ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) লম্বা এবং তার দুই পাশে প্রসারিত এক একটি হাতের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার (৯২ ফুট) । এ সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য নিচে দেয়া হল-
১. এটি তিজুকা ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে শহরকে আড়াল করে রাখা ২৩৪০ ফুট উচ্চতার কর্কোভাদো পাহড়ের চূড়ায় অবস্থিত।
২. এটি ব্রাজিলিয় খ্রিষ্টধর্মের একটি প্রতীক। যা রিও ডি জেনিরো এবং ব্রাজিলের জন্য একটি প্রতিমায় পরিণত হয়েছে।
৩. ইস্পাতশলাকা জল ব্যবহার করে দৃঢ়ীভূত কংক্রিট ও সোয়াপস্টনে (সাজিমাটি) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এটি। একজন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি ১৯২২এবং ১৯৩১ এর মধ্যে নির্মিত করেছিলেন।
৪. এটি বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি।
৫. পাহাড়ের ওপরে একটি ল্যান্ডমার্ক মূর্তির দ্বিতীয় প্রস্তাব ১৯২০ সালে রিও এর ক্যাথলিক সার্কেলরা করেন।
৬. যে পাহাড়টির ওপর এর অবস্থান তার নাম কর্কোভাদো। পাহাড়টির উচ্চতা ২৩৪০ ফুট। ১৯২১ সালে পল ল্যান্ডোস্কিকে মূর্তিটি তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। উদ্দেশ্য পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের প্রথম শতবার্ষিকী উদযাপন। ১৯৩১ সালে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। গ্রানাইটের তৈরি এই মূর্তিটি যে বেদীর ওপর স্থাপিত তারই উচ্চতা ২০ ফুট। মূর্তিটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন যিশু তার দুই হাত প্রসারিত করে শহরটিকে আলিঙ্গন করছেন। পাহাড় আর পানি দিয়ে ঘেরাও করা রিও ডি জেনিরো শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
৭. ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার এতো বিশাল যে, সাধারণ কোনো ক্যামেরা দিয়ে এর ছবি তুলা অসম্ভব। অনেকেই পাহাড়ের চূড়ার নানা প্রান্ত থেকে ছবি তোলার চেষ্টা করেন কিন্তু কোনো না কোনো অংশ বাদ পড়ে যায়!