খালেদাসহ ২২ নেতার মুক্তি চান রিজভী

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সুনির্দিষ্টভাবে ২২ নেতার মুক্তি দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা চলছে। ২৯ ডিসেম্বরের রাতের ভোটের সরকার সকল সরকারি শক্তি দিয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখছে।

তিনি বলেন, তার জামিন পেতে আইনি কোনো বাধা নেই। তবুও তাকে আটকিয়ে রাখতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেআইনি রাস্তায় নানা চক্রান্ত চলছে।

সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশজুড়ে ব্যর্থতা ঢাকতেই বিশেষভাবে ২৯ ডিসেম্বর নিশীথে মহাভোট ডাকাতির মহাকেলেঙ্কারি আড়াল করতেই বেগম জিয়াকে এখনও মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। পাশাপাশি নির্বাচনকে একতরফা করার জন্য অন্যায়ভাবে আটক বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ দেশব্যাপী হাজার হাজার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’

এসময় বিশেষভাবে কারাবন্দি দলের ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, লায়ন আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাক আনিসুজ্জামান খান বাবু, সহ-সাংগঠনিক সম্পদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মাহবুবুল হক নান্নু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদৎ হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, মামুনুর রশিদ মামুন, নিপুন রায় চৌধুরী, শেখ মোহাম্মদ শামীম, শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেম বকর, ধানের শীষের শরীয়তপুরের প্রার্থী মিয়া নুর উদ্দিন অপু, মাগুরার প্রার্থী মনোয়ার হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের নাম উল্লেখ করেন তিনি।

গণফোরামের নির্বাচিত দুই নেতা সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন- সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে শপথ গ্রহণ করবে কিনা এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এখনও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ আছে। যেকোনো বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নেতারা।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন প্রত্যেক প্রার্থী। দলীয়ভাবে এটা করা হবে না। প্রত্যেকে তারা ইচ্ছেমতে সময়ে মামলা করবেন।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)