ড. কামালের সংলাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিপুল বিপর্যয়ের পর ঐক্যফ্রন্টে আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ চান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সে সংলাপের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে ড. কামাল বলেছিলেন, নতুন নির্বাচনের দাবিতে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবেন। ১৯ জানুয়ারি তিনি সিঙ্গাপুর যান। এরপর থেকে এই সংলাপ নিয়ে আর কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, ড. কামাল হোসেন আজকালের মধ্যে দেশে ফিরবেন। এরপরই সংলাপের উদ্যোগ নেয়া হবে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ড. কামাল হোসেন যে সংলাপের আহ্বান করেছেন তাতে ঐক্যফ্রন্টের বৃহত্তম দল বিএনপির কোন সায় নেই। ঐক্যফ্রন্টের অন্য দলগুলোও এই সংলাপে আগ্রহী নয়।
ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন যে, সংলাপের ব্যাপারে আমাদের অধিকাংশেরই মত নেই। আর এমন সংলাপের আগে আমাদের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রয়োজন। এদিকে এ সংলাপের ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে বাম ফ্রন্ট। তারা মনে করছে যে, এ ধরনের সংলাপ ইতিবাচক কোন ফল বয়ে আনবে না। বরং সরকাররে উপর চাপ সৃষ্টির জন্য কর্মসূচি গ্রহণে বাম দলগুলো চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম দল গণফোরাম জানিয়েছে যে, জামাতের সঙ্গে তারা কোন ধরনের সম্পর্ক রাখবে না। আর ২০ দলের অন্যতম শরিক দল হলো জামাত, যাদেরকে কোনভাবেই ছাড়তে চায় না ঐক্যফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপি। কাজেই এই সংলাপের গতি প্রকৃতি কিভাবে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারণা নেই। তাই ড. কামাল হোসেন সংলাপ ডাকার পরও সংলাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
যদিও মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, ‘সংলাপ হবেই। ঐক্যফ্রন্টের যে কয়টা রাজনৈতিক দলই সংলাপে অংশ নিতে আগ্রহী তাদেরকে নিয়ে আগামী নির্বাচন কিভাবে অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক করা যায় সেগুলো নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করার প্রক্রিয়া শুরু করবো। এই সংলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নতুন নির্বাচনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নেবো।’