সাতক্ষীরায় ৩৫ হাজার টাকায় সাধারণ গাড়ীকে এল.পি.জি গাড়ীতে রূপান্তর
সাতক্ষীরার সোনালী ফিলিং স্টেশনে ওমেরা এল.পি.জি অটো গ্যাস এর শুভ উদ্বোধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার আলিপুর চেকপোস্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরার আলীপুর ইউনিয়নের সবেক চেয়ারম্যান আলহজ আব্দুর রউপ এর সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে বেলা ২টায় শেষ হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার সোনালী ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী নিলুফা আক্তার রীতা, ওমেরা গ্যাস ওয়ান লি: এর সিইও তোশীয়কি শিমবরি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওমেরা গ্যাস ওয়ান লি: এর জেনারেল ম্যানেজার-সেলস্ টেকনিকাল কামাল হোসাইন, ওমেরা পেট্রোলিয়াম লি: এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার-সেলস্ টেকনিকাল রোকন-উজ-জামান, ওমেরা গ্যাস ওয়ান লি: এর ইঞ্জি: দেবাশীষ চৌধুরী,বাজাজ রানার থ্রি হুইলার এর সেলস্ ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম। এই সময় সকল অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরন করে নেন আলহজ¦ আব্দুর রউপ সাহেবের দৌহিত্র সিয়াম। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোশীয়কি শিমবরি বলেন এল পি জি গ্যাসকে সার পৃথিবীতে অটো গ্যাস বলে। এটি সারা পৃথিবীর সবচেয়ে সবথেকে পিওর জ্বালানী। এর সাথে চাইলেও ভেজাল মেশানো সম্বভ না। এটি একটি তরল জ্বালানী। এল.পি.জি গ্যাসের প্রতি লিটার এর সাথে অকটেন এর দামের প্রায় ৪০ টাকা ব্যবধান। অন্যদিকে এল.পি.জি গ্যাসে যানবাহন চালালে অকটেন ছাড়া মাত্র ১ কি.মি দূরত্ব কম পার করে। সাথে সাথে এল.পি.জি গ্যাস সাধারণ তেলের মত পিচ্ছিল। তাই এতে ইঞ্জিনের কোন ক্ষতি হয় না। তাছাড়া ওমেরা লি: সাধারণত স্পেশাল সিলিন্ডার ব্যবহার করে তাই এত ভয় কম থাকে। একটা সিলিন্ডারে সাধারনত ৮৫% এর বেশি গ্যাস ফিলিং করা হয় না,তাই ভয় নেই বললেই চলে। একটা সিলিন্ডার তৈরির পর সাধারণত ১০ বছর ব্যবহার করা যাবে। এতে আমরা অর্ধেক খরচেই আমাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারবো। সভাপতির বক্তব্যে আলহজ আব্দুর রউপ বলেন আমার এই ফিলিং স্টেশন টি দিন রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। কেউ আমার কাছে এসে খালি হাতে ফিরবে না। তিনি বলেন মাত্র ৩৫০০০ হাজার টাকায় আমরা এখানে একটি গাড়ীকে এল.পি.জি গ্যাস ব্যবহারের উপযোগী করছি। প্রয়োজনে ৬০০ টাকা সাপ্তাহিক কিস্তিতে একটি গাড়ীতে আমরা এই রূপান্তরের কাজ সম্পন্ন করে দিচ্ছি। আমার এখানে এই কাজের পারদর্শী মিস্ত্রি আছে। প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা আমরা সেবা দেব। উক্ত অনুষ্ঠানে ত্রিহুইলার ড্রাইবার ও মালিকবৃন্দের প্রশ্নের উত্তর দেন ইঞ্জি: দেবাশীষ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে একটি র্যাফেল ড্র এর আয়োজন করা হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আসফাকুল হক।