সাতক্ষীরায় সুদের বোঝায় জীবন দিতে হলো পল্লী চিকিৎসকের
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গলায় রশি দিয়ে পল্লী চিকিৎসক ইনামুল হক (৫২) আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ দিকে। সে ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাশপুর গ্রামের মৃত নেছার উদ্দীনের ছেলে । স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরে সে সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ৫ লক্ষ টাকা ঝন নেন । পরবর্তিতে সময় মতো সুদের টাকা পবিশোধ করতে না পারায় সে সুদেও টাবা ২৫ লক্ষ টাকা গিয়ে দাড়ায় । বিভিন্ন ভাওে সে ঝণ পরিশোধ করার চেষ্টা কওে ব্যর্থ হয় ।
সুদেও মহাজনদেও টাকা ঠিকমতো পরিশোধ না করায় তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে । কোন উপায় না পেয়ে সুধের মহাজনদের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার সকালে নিজের রুমে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যা করে ।
মৃত ইনামুলের স্ত্রী বলেন বুধহাটা,হাবাসপুর,নওয়াপাড়া,শ্বেতপুর এলাকার ২০ জন সুদ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আমার স্বামী ৫ লক্ষ টাকা নেয় । সে টাকা সুদে আসলে ২৫ লক্ষ টাকা হয়ে যায় । সুদ ব্যবসায়ীদের যন্ত্রনা সয়তে না পেরে আজ কাওকে কিছু না বলে আজ সকালে সে আত্মহত্যা করেন । ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সামসুর রহমান জানান,বুধহাটা সহ পাশ্ববর্তি এলাকায় সুদ ব্যবসায়ীদের কারণে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ । অল্প কিছু টাকা তাদের কাছ থেকে ঝণ নিলে পরিশোধ না করতে না পেরে ভিটা মাটি ছাড়তে হচ্ছে অনেকের । আর সেই সুদের ঝনের কারণে জিবন দিতে হলো পল্লী চিকিৎসক ইনামুল হককে । এব্যাপারে সাতক্ষীরা থানা ওসি মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।