সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক এক আ.লীগ কর্মীর বাড়ি-ঘর ভাংচুরের
সাতক্ষীরায় সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক এক আ.লীগ কর্মীর বাড়ি-ঘর ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা সদরের শিবপুর ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত সুরোত আলীর ছেলে মো. আকবার আলী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ করার কারণে বর্তমান শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মানির ভাই গোলাম কিবরিয়া, আবু বক্কর, রফিকুলসহ কয়েকজন আমাকে দিয়ে জোরপূর্বক তাদের মল (মানুষের) পরিস্কার করিয়ে নেয়। তারপরও আমরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ছেড়ে যায়নি। তাদের ভাই মানি এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা। সে আমার সন্তানদের জামায়াত-বিএনপি বানিয়ে ফয়দা লুটার চেষ্টা করছেন। অথচ এক সময় অত্র এলাকায় আমার পরিবারসহ মাত্র কয়েকজন ব্যক্তি আওয়ামীলীগ করতেন।
তিনি আরো বলেন আমার ৩ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আব্দুস সবুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য, মেঝ ছেলে মোঃ ইউনুস আলী ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য। অথচ গত বৃহস্পতিবার রাতে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম মানির নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমার বাড়িতে যায়। তারা আমার বড় ছেলেকে জামায়াত-বিএনপি বলে তাকে খুজতে থাকে। কিন্তু তাকে না পেয়ে আমাদের বাড়িতে ফেন্সিডিল আছে বলে খোজাখুজি করতে থাকে এবং ঘরের মধ্যে থাকা আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া ঘরে থাকা সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের নৌকা প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপির নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে দেয় তারা। পরে আমার পোতা ছেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র আব্দুলাহকে আটক করে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেয়। এঘটনায় শুক্রবার সকালে মানি মোবাইল ফোনে আমার হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে এবং আমার সন্তান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে মানিসহ তার বাহিনীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি এবং সন্তানদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।