সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন তারা এদেশের সূর্য সন্তান। তারা মরেও চির অমর হয়ে থাকবেন। তাদের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়ের এই চেতনা বুকে ধরে রাখতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিচার বাস্তবায়ন করতে হবে।
শনিবার দুপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন মুক্তিযুদ্ধ শেষে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ঘাতকরা দেশের বুদ্ধিজীবী সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে মেধাশুন্য করতে চেয়েছিল। তারা বেছে বেছে নিরপরাধ বাঙ্গালিকে হত্যা করে পাকিস্তানি শাসন শোষণ অব্যাহত রাখার শেষ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। বাঙ্গালি জাতিকে বীর সন্তানদের এই আত্মত্যাগ চির স্মরণে রাখতে হবে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন সারাদেশই তো বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও এদেশের ঘাতক দালাল রাজাকার ও আল বদররা মিলিতভাবে নিরস্ত্র বাঙ্গালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। তারপরও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। ১৬ ডিসেম্বর তারা মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্ম সমর্পণ করে নিজেরাই প্রমাণ করে যে গণহত্যা চালিয়ে তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন স্মৃতিকথা তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা ধারনের আহবান জানান। একই সাথে সাতক্ষীরার সবগুলি বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করে শহীদ স্মৃতি গড়ে তোলার আহবান জানান। এর আগে শহীদ সন্তানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচি, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, জি,এম মনিরুল ইসলাম মিনি, আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল বারী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, রুহুল কুদ্দুস, এম কামরুজ্জামান, লোকসমাজের শেখ মাসুদ হোসেন, সংবাদের আবুল কাসেম, ভোরের ডাকের মোহাম্মদ আলী সুজন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না, সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন সম্পাদক আবুল কালম, বাংলা নিউজের শেখ তানজির আহমেদ, মেহেদী আলী সুজয়, প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।