ইভিএমের ছয় আসনে ২১ লাখ ভোটারের ৪৮ প্রার্থী
নির্বাচন কমিশন লটারির মাধ্যমে যে ছয়টি আসন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য বেছে নিয়েছে, সেসব সংসদীয় আসনে ৪৮ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। আর এই ছয় আসনে ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন ভোটার প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে যন্ত্রের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
ছয়টি আসনের ৮৪৫টি কেন্দ্রের ৫ হাজার ৩৮টি ভোট কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইভিএম এ কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তা মোকাবেলায় বিকল্প হিসেবে চাহিদার দ্বিগুণ পরিমাণ ইভিএম প্রস্তুত রাখা হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসনে ইভিএমে ভোট হবে।
ইভিএমে ভোট হওয়া আসনগুলোর মধ্যে রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী ৯ জন, খুলনা-২ আসনে ৭ জন, সাতক্ষীরা–২ এ ৬ জন, ঢাকা-৬ এ ৮ জন, ঢাকা-১৩ তে ১০ জন এবং চট্টগ্রাম-৯ এ ৮ প্রার্থী জনসহ ৬টি আসনে মোট ৪৮ জন প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে ইভিএম ব্যবহারের যোগ্য বিবেচিত ৪৮টি আসন বাছাই করেছিল। তার মধ্যে থেকে শহরাঞ্চলের ছয়টি আসনকে গত ২৬ নভেম্বর দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়।
ছয়টি আসনে সর্বমোট ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-৬ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৫ জন, ঢাকা-১৩ তে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৭৫ জন, চট্টগ্রাম-৯ এ ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৩১ জন, রংপুর-৩ এ ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৭ জন, খুলনা-২ এ ২ লাখ ৯৪ হাজার ১১৬ জন, সাতক্ষীরা-২ এ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৪৬ জন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, সেনাবাহিনীর টেকনিক্যাল কোরের সদস্যরা এবং নির্বাচন কমিশনের দক্ষ লোকজন ইভিএম পরিচালনা করবে।
ইসি সূত্র জানায়, ইভিএম’র প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে ইভিএম থাকবে। কোনো ধরনের ত্রু টি দেখা গেলে ‘স্ট্যান্ডবাই’ থাকবে তিনটি করে ইভিএম।
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে পাঁচটি ভোটকক্ষ থাকে। ৪০০-৫০০ ভোটারের জন্য প্রতি ভোট কক্ষে থাকবে একটি করে ইভিএম। কোনো ধরনের ত্রু টি দেখা গেলে ‘স্ট্যান্ডবাই’ হিসেবে রাখা হবে তিনটি করে ইভিএম।
তিনি বলেন, এই হিসাবে ছয় কেন্দ্রে ভোটের জন্য কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার ইভিএম লাগবে। এর দ্বিগুণের বেশি প্রস্তুত রাখা হবে জরুরি প্রয়োজনে।