সাতক্ষীরায় যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে ইমামদের সাথে মতবিনিময় সভা

‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ইমামদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নাটাবের আয়োজনে বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে নাটাব সম্পাদক মোঃ আব্দুল হান্নান মোল্যার সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোবারক আলী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নাটাব কর্মকর্তা তরুণ কুমার বিশ্বাস।
সাতক্ষীরা জেলার ৩০জন ইমামদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফুসফুসে যক্ষ্মা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষ্মারোগের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষ্মা একটি জীবাণু ঘটিত সংক্রামক রোগ। একনগাড়ে দুইসপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময়পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময়ে রুমাল ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের সকল জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, বক্ষ-ব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষ্মা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকার যক্ষারোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসার সমস্ত ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)