ভোটগ্রহণ সামগ্রী যাচ্ছে নির্বাচনী এলাকায়
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্যালট পেপার বাদে সব কিছুই প্রস্তুত হয়েছে। তবে ব্যালট পেপারও শেষ সপ্তাহে যাবে। আজ থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে ভোটগ্রহণ সামগ্রী। প্রথমদিনে ৩২টি জেলায় এসব সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। রোববার যাবে বাকি জেলাগুলোতে।
ইসির ক্রয় ও মূদ্রণ শাখার সহকারি সচিব সৈয়দ গোলাম রাশেদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ব্যালট পেপার বাদে অন্য সব নির্বাচনী সামগ্রী আমরা শনিবার থেকে বিতরণ শুরু করবো। সবার শেষে যাবে ব্যালট পেপার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটগ্রহণের জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুই প্রস্তুত করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরের দিন ব্যালট পেপার মূদ্রণের জন্য পাঠানো হবে। ব্যালটে সবার নাম পৃথকভাবে উল্লেখ থাকবে, তাই এগুলো মূদ্রণে একটু সময় লাগবে। তবে ভোগ্রহণের ৭দিন আগে থেকে সেগুলো নির্বাচনী এলাকায় পাঠানো শুরু হবে। ইসি সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সকাল থেকে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের অধীনস্ত ৩২ জেলায় পাঠানো হবে। এরমধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র, নির্দেশিকা, ফরম ও প্যাকেট গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে সরবরাহ করা হবে।
এছাড়া নির্বাচনী সামগ্রী (স্টাম্প প্যাড, অফিসিয়িাল সিল. মাকিং সিল, ব্রাস সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্টাপ পিন) নির্বাচন ভবনের গোডাউন থেকে বেলা ১টার মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
রোববার ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মসসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২ জেলায় নির্বাচনী সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা আরো জানান, পর্যাপ্ত পরিমানে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে। নতুন করে এবার আর কেনার প্রয়োজন পরবে না। কোনো এলাকায় প্রয়োজন হলে যে এলাকায় বেশি আছে সেখান থেকে সমন্ময় করা হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচরের ভোটগ্রহণ।