সাতক্ষীরায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়
সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এর জনপ্রিয়তা অনেক। ফলে দেশটির অনেক শিক্ষার্থীই এখন এটি পেশা হিসেবে হোমিওপ্যাথিকে বেছে নিচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় সকল রোগের চিকিৎসাই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে এবং দেশটির প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ এই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন বলে যানা যাচ্ছে। কিন্তু হোমিওপ্যাথির এমন কি বিশেষত্ব আছে, যার কারণে এই চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশের জন সাধারণ।
কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ আব্দুল বারিক বলেন, নতুন আবিষ্কৃত রোগগুলোর কথা বাদ দিলে, পুরনো অনেক রোগই প্রায় পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে। এর বিশেষত্ব এখানেই ।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদেরও মধ্যে পেশা হিসেবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে বেছে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছ। সে জন্য,দেশে বর্তমানে সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ে ৫১ টি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজও স্থাপন করা হয়েছে। হোমিওপ্যাথির উৎপত্তি জার্মানিতে, প্রায় দু’শ বছর আগে। যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় প্রায় ৮০ বছর আগে,অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর।
সম্প্রতি এক বেসরকারি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ ভাগ লোক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেয়। গত ১৫ বছরে এদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নেওয়া লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৪ গুণ। কিন্তু, অবিশ্বাস্য বিষয়টি হচ্ছে, হোমিওপ্যাথি ঔষধ কিভাবে কাজ করে, এর উত্তর এখনও বিজ্ঞানের কাছে নেই।
তবে হোমিও প্যথিক ঔষধে যে কাজ হয় তার জলন্ত প্রমাণ করেছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ৪নং লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের লাঙ্গলঝাড়া বাজারের ডলি ক্লিনিকের ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তার হাতেও ষশ আছে বলতে হবে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে রোগী আসে তার কাছে চিকিৎসা নিতে। সকলেই বলেন তার কাছে চিকিৎসা নিলেই ভাল হয়ে যাচ্ছে তারা। তিনি হোমিও প্যথিক চিকিৎসার মাধ্যমে নাক, কান, গলা, মাথা, টিউমার প্রভৃতি জটিল ও কঠিন রোগ নিরাময় করছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার বন্ধ রাখেন তার চেম্বার। সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রোগী দেখেন তিনি। তিনি বিনা অপারেশনের মাধ্যমে টিউমার, নাকের পোলিপাচ, বিভিন্ন স্থানে মাংস বাড়া শুধু মাত্র হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীদের সেরে তুলছেন। বিনা অপারেশনে নাকের ভিতর থেকে ধান, পোকা আর শিশুর গলায় আটকে যাওয়া ধান রেব করে এলাকায় আড়োলন সৃষ্টি করেছেন। যে কাজ কোন এমবিবিএস ডাক্তারও করতে পারেননি সেই কাজ তিনি করেছেন। এছাড়া সাংবাদিক জুলফিকার আলীর মেয়ের কানে দীর্ঘ দিন ধরে ময়লা জমে পচন ধরে। অনেক ডাক্তার দেখিও কোন কাজ হয়নি। পরে লাঙ্গলঝাড়ার ডলি ক্লিনিকের ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক সাহেব কে দেখানো হয়। তিনি মাত্র একদিন ডিজিটাল ম্যাশিন দিয়ে কান পরিষ্কার করে হোমিও প্যথিক ঔষধ দেন। মাত্র দুই দিনের মধ্যে কান সেরে যায়। বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ আব্দুল বারিক বলেন, প্রশিক্ষিত ডাক্তারের মাধ্যমে দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রসার করতে পারলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন সম্ভব। তিনি আরো বলেন- আগামীতে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে একজন করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মিলবে। হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কোন পাশ্বপ্রক্রিয়া নেই। যে কারণে জনসাধারণ এই ঔষধ সেবনে ঝুকি পড়ছে।