শ্যামনগরে ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে বকুলের ভাটা
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ফসলি জমি নষ্ট করে গড়ে উঠেছে ইটের ভাটা । উপজেলা ভুরুলিয়ার খানপুরে, হাটসালা গ্রামে ও চন্ডিপুর গ্রামে ফসলি জমির উপরে ও বসত বাড়ির পাশে দীর্ঘ দশ থেকে পনেরো বছর যাবত অবৈধ ভাবে তিনটি ভাটা পরিচালনা করছে প্রভাবশালী সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান , গাজী ব্রিকস ভাটা তাদের যন্ত্রণার আর এক নাম । ইট ভাটার চিমনির ধোয়া ও ছায়ের জন্য ওই এলাকা তাদের বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে উঠেছে । তাছাড়া তাদের ফসলি জমিতে ওই সব ইটের ভাটার কারণে ফসল হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় কয়েক জন অভিভাবক জানান গাজী ব্রিকস-২ চন্ডিপুর এলাকার প্রাইমারি স্কুলের পাশে ভাটাটি করাই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দূরচিন্তায় পড়ে যান তারা ।
ইটবাহী ডাম্পার ও নসিমন কখন জানি কেড়ে নেয় তাদের প্রিয় সন্তানের প্রাণ। সরকারি আইন অমান্য করে গাজী ব্রিকসয়ের তিনটি ভাটা গড়ে উঠেছে প্রায় ১২০ বিঘা ফসলি জমি নিয়ে।
তাছাড়া ভাটায় ইট পুরানো হচ্ছে কাঠ দিয়ে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার চাষিরা । ভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সিদ্দিকুল ইসলাম বকুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছে বলে ফোন কেটে দেন।
অবৈধ ভাবে ভাটা পরিচালনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, এর আগেও কিছু দিন আগে অবৈধ ভাবে ফসলী জমির উপর ভাটা পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গাজী ব্রিকস -২ বন্ধ করে দিয়ে জরিমানা করা হয়ে ছিল। তবে বর্তমানে সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল মহামান্য উচ্চ আদালত থেকে একটি রিট নিয়ে এসেছেন ছয় মাসের মধ্যে প্রশাসন তার ভাটায় যেতে পারবেননা বলে তিনি জানান।