দ্বিতীয় দিনে আপিল শুনানিতে বৈধ-অবৈধ যারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলে আপিল করে দ্বিতীয় দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪৭ প্রার্থী বৈধ, ৩০ প্রার্থী অবৈধ ও একজনের প্রার্থীর আপিল স্থগিত রেখেছে ইসি।

সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের অস্থায়ী এজলাসে এ শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে শুনানি চলছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানি করছেন। এজলাসে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত রয়েছেন। দুপুরের বিরতির পর বিকেল ৩ টায় আবারও শুনানি শুরু হয়েছে।

দুই দিনে ১৬০ জনের শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৮০ জনকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, বাতিল বা খারিজ করা হয়েছে ৭৬ জনকে। চারটি আপিল আবেদনের পক্ষে কেউ উপস্থিত না থাকায় শুনানি হয়নি।

জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপর ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে আপিল আবেদন করেন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় দিন বৈধতা পেলেন যারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মো. মুসলিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ হাছান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মো. আবু আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. গিয়াস উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আবদুল খালেক, কুমিল্লা-১০ মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-২ একে ফাইয়াজুল হক, পটুয়াখালী-১ মো. আবদুর রশিদ, বরিশাল-১ মো. বাদশা মিয়া, বরগুনা-১ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর, বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুণ (তার মনোনয়ন বাতিল করতে আপিল করা হয়। শুনানিতে সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়), পটুয়াখালী-২ মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরিশাল-২ এর সৈয়দ রুবিনা আক্তার, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), ঢাকা-১৬ আলহ্বাজ এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-৩ মোহাম্মদ সুলতান আহম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (রুবেল), কিশোরগঞ্জ-৬ মোহাম্মদ মুছা খান, টাঙ্গাইল-৮ মোহাম্মদ আ. লতিফ মিয়া, নরসিংদী-২ জাইদুল কবীর, কিশোরগঞ্জ-১ খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেন খান, গাজীপুর-৩ মোহাম্মদ জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খান, শরীয়তপুর-৩ সুশান্ত ভাওয়াল, কিশোরগঞ্জ-২ নুরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ ডা. এনামুল হক (ইদ্রিছ), নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, টাঙ্গাইল-৬ মোহাম্মদ আবুল কাসেম, টাঙ্গাইল-৭ সৈয়দ মজিবর রহমান, শরীয়তপুর-২ মোহাম্মদ বাদল কাজী, মাদারীপুর-১ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন খোকা, টাঙ্গাইল-৬ ব্যারিস্টার এম আাশরাফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৬ মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ এস এম চান মিয়া, মাদারীপুর-২ আল আমীন মোল্লা, ঢাকা-৮ এস এম সরওয়ার, মাদারীপুর-১ নাদিরা আাক্তার ও ঢাকা-১ ফাহিমা হুসাইন জুবলী।

আপিলের পরও অবৈধ প্রার্থী যারা

কুমিল্লা-১ মো. আলতাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৬ সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবদুল লতিফ জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান, কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ, বরিশাল-৬ ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ এম এ মান্নান হাওলাদার, ঝালকাঠী-১ মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ মনিমোহন বিশ্বাস, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা, বরিশাল-৪ মো. মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, ঝালকাঠী-১ ইয়াসমিন আক্তার পপি, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তম আলী ফারাজী, পটুয়াখালী-২ মো. শফিকুল ইসলাম, ভোলা-২ হুমায়ন কবির, নরসিংদী-২ আলতামাশ কবীর (অনুপস্থিত), কিশোরগঞ্জ-৪ সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আম্মান খান, মানিকগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আাতোয়ার হোসেন, ঢাকা-৮ আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ আানিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ অবসরপ্রাপ্ত মেজর মামুনুর রশিদ, গোপালগঞ্জ-১ শামসুল আলম খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন ও নারায়ণগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেহান আফজাল।

স্থগিত : শরীয়তপুর-১ মো. আালমগীর হোসেন।

আগামীকাল শেষদিন সকাল ১০টায় শুনানি শুরু হবে।

গত ২৮ নভেরের মধ্যে ৩ হাজার ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাছাইয়ে বাদ পড়েছে ৭৮৬টি, বৈধ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি। তাদের মধ্যে ৫৪৩ জন প্রার্থিতা ফেরত পেতে আপিল করেন। যার অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৬০ জনের মধ্যে ৮০ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।

ইসির তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)