তালায় টিআরএম এলাকায় নেটপাটা দিয়ে পলি উঠতে বাধা দিয়ে মাছ চাষ করছে ভূমি দস্যুরা
তালায় শালিকায় ৬হাজার বিঘা টিআরএম এর বেশীর ভাগ এলাকায় নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ করছে ভূমি দস্যুরা । প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপরাধ করলেও নিশ্চুপ ভূমিকায় প্রশাসন । গরীব অসহায় চাষিরা পড়ছে বিপাকে ।
২০১১-১২ অর্থ বৎসরে টিআরএম চালু হয় । ২০১৮ সাল কেটে গেলেও কৃষকরা টাকা পেয়েছে মাত্র ২ বৎসরের । তাও আবার অনেক কৃষক জমির কাগজের জটিলতার কারণে এক বারের জন্য হলেও টাকা উঠাইতে পারেনী । অভাব অনাটনে সংসার চলে গরীব কৃষকদের । টিআরএম এলাকায় গরীব চাষিরা মাছ মেরে পেটেরভাত জোগার করবে তার কোন উপায় নাই । এলাকার ক্ষমতাধর কিছু ভূমি দস্যুরা টিআরএম এর বেশীরভাগ জমিতে নেট পাটা দিয়ে ঘিরে রেখে মাছ চাষ করছে । টিআরএম এলাকায় নেটপাটা দিয়ে পানির গতিরোধ করা অপরাধ জেনেও নির্দ্বিধায় সরকারের নাকের ডগায় মাসের পর মাস, বছরের পর বছরে নেট পাটা দিয়ে গুটি কয়েক ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে । ভুক্তভুগি সাধারণ জমির মালিকরা না পাচ্ছে টাকা না মারতে পারছে মাছ । এদিকে সরকারের শতশত কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাচ্ছে । টিআরএম এলাকায় ভুক্তভুগি জমির মালিক মো: আবুল হোসেন গাজী,শাহামত মোড়ল,জিয়ারুল সরদার,গফুর সরদার,রেজাউল বিশ্বাস,ইব্রাহিম গাজী,আজিজুর গাজী,মুক্তার গাজী,শওকত গাজী,মোফাজ্জেল বিশ্বাস,কুদ্দুস মোড়লসহ শতশত ব্যক্তির অভিযোগ কিছু ভুমি দস্যু যারা জোর করে টিআরএম এর জমিতে নেটপাটা দিয়ে মাছ তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে । এদের মধ্যে বালিয়া গ্রামের কপিল উদ্দিনের পুত্র, বাবলু সানা, শাহাজান সানার পুত্র বাবুল সানা, সকিল উদ্দিন সানার পুত্র রইজুল সানা,মৃত মান্দার গাজীর পুত্র গফুর গাজী, মৃত আনার গাজীর পুত্র আলতাফ গাজী, আফসার গাজীর পুত্র শফি গাজী, আরশাদ গাজীর পুত্র জিয়া গাজী, মনু গাজীর ছেলে শামসের গাজীরসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিজেরা অন্যের জমি দখল করে নেটপাটা দিয়ে মাছ চাষ করছে । এদের অনেকের কোন জমি নাই । ভুক্তভুগিরা আরও বলেন,সরকার যদি নদীর পলি মাটি সরানোর জন্য টিআরএম করে থাকে সেটা ভাল । আমরাও চাই নদীর গভীরতা বেশী হোক । কিন্ত যার জন্য সরকার আমাদের জমি নিয়ে টিআরএম করছে, সেটা যদি গুটি কয়েকজন ব্যক্তির কারণে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সরকারের শত শত কোটি খরচ করে লাভ কি ।মধ্যদিয়ে আমরা যারা গরীব চাষি তারা সকল দিক দিয়ে বঞ্চিত হচ্ছি । না পাচ্ছি টিআরএম এর টাকা, না লাগাতে পারছি ধান, আর না মারতে পারছি মাছ । ভুক্তভুগিরা আরও বলেন, সরজমিনে তদন্ত পূর্বক, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিকট আমাদের আকুল আবেদন,অতিদ্রুত নেটপাটা অপসারণ করা হোক এবং টিআরএমএর মূল উদ্দেশ্য যেন সঠিক সফলতার মুখ দেখে । এবং যারা সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করে নেটপাটা দিয়ে ঘের করে নিজেদের পকেট ভরছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং দ্রুত নেটপাটা অপসারণের জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,তালা উপজেলা চেয়ারম্যান,তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার,তালা থানা অফিসার ইনচার্জসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু- দৃষ্টি কামনা করেছেন ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন বলেন,যারা নেটপাটা দিয়ে পানির গতিরোধ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । সহকারী কমিশনার ভূমি ট্রেনিং এ আছে । তিনি আসলে মোবাইল কোট করা হবে ।