বুধহাটা কলেঃ স্কুলের নিয়োগ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার এবং নিয়োগ কার্যক্রম বন্দের দাবীতে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তা স্কুলে উপস্থিত বাদী ও বিবাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন।
বুধহাটা গ্রামের মৃত রমজান আলি সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান জুলু বাদী হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ কমিটির সকল সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিবাদী করে আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। স্কুলের গভর্নিং বডি কর্তৃক সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষকের যোগদান ও অনুমোদন এবং স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক এর শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম বেআইনি দাবী করে স্থগিতের আবেদন করা হয়। সাথে সাথে চলতি কমিটির মেয়াদ ৮/১/১৯ তাং শেষ হচ্ছে বিধায় ১৫/১১/১৮ তাং কমিটি নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করায় বিধি বহির্ভূত ও দুর্নীতির ভিত্তিতে চলমান কমিটির মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন জানান হয়। বিজ্ঞ আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর আদেশ করেন। কর্তৃপক্ষের জবাব প্রাপ্তির পর আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনিকে দায়িত্ব অর্পণ করলে বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বুধবার সরেজমিন তদন্তে আসেন। তদন্ত কর্মকর্তা বাদী ও বিবাদীর লিখিত/মৌখিক জবানবন্দী গ্রহণ করেন। প্রধান শিক্ষক দাউদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ তদন্ত হয়েছে। সবকিছু খোলামেলা ভাবে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। নিয়োগ কার্যক্রম আদালত স্থগিত করেননি। তবে নিয়োগ কার্যক্রম চলবে কিনা সেটি গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের পর বলা যাবে। বিবাদী নুরুজ্জামান জুলু বলেন, আনিত অভিযোগের ব্যাপারে যতটুকু সম্ভব প্রমাণসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান হয়েছে। বোর্ড, বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বুধহাটা স্কুলের বর্তমান অবস্থা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। সুষ্ঠু ও অর্থ বাণিজ্য মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ আমাদের দাবী। প্রধান শিক্ষকের এখানো বেতন/এমপিও হয়নি, তার দ্বারা এবং কমিটির মেয়াদ শেষ প্রায় এমন কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ বন্দ করে নতুন কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু ও যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করা হোক সেটি আমরা চাই। তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, বাদী-বিবাদীর জবানবন্দী নিয়েছি। ইউএনও স্যারকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।