ড. কামালকে মার্কিন সংস্থার পাঁচ প্রশ্ন
মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এর পক্ষ থেকে পাঁচ প্রশ্ন করা হলো ড. কামাল হোসেনকে। এই পাঁচ প্রশ্নের অন্তত দুটি উত্তর ড. কামাল এড়িয়ে গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একটি হোটেলে এনডিআই প্রতিনিধি দলের ড. কামাল হোসেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে একা কুড়ি মিনিট বৈঠক করেন এনডিআই নেতৃবৃন্দ। এখানে তাঁরা ড. কামাল হোসেনের কাছে সুস্পষ্ট পাঁচটি বিষয় জানতে চান।
১. এনডিআইয়ের প্রথম প্রশ্ন ছিল, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে। এর জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন বর্জনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন বর্জনের চাপ বাড়ছে।
২. দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ড. কামাল কেন নিজে নির্বাচন করলেন না। এর জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, তিনি আশি উর্ধ্ব। এটা নির্বাচনের বয়স না।
৩. জামাত কেন এখনো বিএনপির সঙ্গে- তৃতীয় এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, জামাত কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়। তারা নির্বাচন করছেন না। এখানে এনডিআই একজন প্রতিনিধি জানতে চান, জামাতের ২৫ জন প্রার্থী বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এর জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে কোন তথ্য নেই।
৪. জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জিতলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? এরকম প্রশ্নের উত্তরে ড.কামাল বলেন, নির্বাচনের পর বিজয়ী দল আলোচনা করে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
৫. এনডিআই এর পঞ্চম প্রশ্নটিও এড়িয়ে যান ড. কামাল হোসেন। পঞ্চম প্রশ্নটি ছিল, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া সহ যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা আছে এবং বিচার হয়েছে তার কী হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি সেই সময়ের সরকার দেখবে।
উল্লেখ্য, বৈঠকের শুরুতেই এনডিআইকে নির্বাচনের পরিবেশ অসন্তুষ্টির কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। বিভিন্ন অভিযোগ সম্বলিত একটি লিখিত প্রতিবেদনও এনডিআই প্রতিনিধিদের দেয় ঐক্যফ্রন্ট।
বৈঠকে এনডিআইয়ের পক্ষ থেকে ছিলেন সংস্থাটির সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ও এশিয়া বিভাগের পরিচালক পিটার এম. মানিকাস, এনডিআইয়ের বোর্ড মেম্বার ও সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিফ ইন্ডার ফার্দ, ম্যানেজার ফর গ্লোবাল ইলেকশন মাইকেল ম্যাগনালিটি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মার্কিন সংস্থাটি এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।