আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশনে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বুধহাটা অঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সামনে আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে পরীক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশনেন ।
এসময় নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা বলেন, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর, কমিউনিটি প্রমোটর, আল্ট্রা পোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর, স্পন্সারশীপ ফ্যাসিলিটেটর, ভ্যালুচেইন ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর ওয়াশ এবং ডাটা এন্ট্রি পদে নিয়োগ দেন আশাশুনি এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুধু মাত্র লোক দেখানো । স্বজন প্রীতি ও গোপনে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা জানান নিয়োগ প্রকাশের পর প্রায় ৩২৯ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যার লিখিত পরীক্ষা ৪ঠা নভেম্বর আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কক্ষে বেলা ১.৩০ টায় হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বিকাল ৩.৩০ টার । পরীক্ষা শেষে তড়িঘড়ি করে একদিন পর মোবাইলে ভাইবার জন্য ডাকা হয় কিছু প্রার্থীদের। এর জন্য পত্রিকায় বা নোটিশ বোর্ডে কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। বেশিরভাগ ফ্যাসিলিটেটরদের আগে থেকেই বলা হয়েছে তারা কে কোন পদে পরীক্ষা দেবে এবং তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে তারা দাবী করেন। কুল্যা গ্রামের বাবুল সরদারের কন্যা খাদিজা খাতুন গত বছর কমিউনিটি প্রমোটরে পরীক্ষা দিলেও সে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
সে তার মেধা যাচাইয়ে ব্যার্থ হলেও পরবর্তীতে তাকে আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবছর তাকে আগে থেকেই বলা হয়, সে যেন স্পন্সারশীপ প্রোজেক্টে আবেদন করে এবং সে উক্ত প্রোজেক্টে উত্তীর্ণ হয়েছে। মহিষাডাঙ্গা গ্রামের পবিত্র সরকারকে আল্ট্রা পোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর পদে আবেদন করার কথা বলা হয় এবং তাকেই উক্ত পদে উত্তীর্ণ করানো হয়েছে । এছাড়া ইনহেল্ডার প্রোজেক্টের আল্ট্রাপোর গ্রাজুয়েশন ফ্যাসিলিটেটর পদে কুল্যা ইউনিয়নে ২জন ও বড়দল ইউনিয়নে ২জন করে ফ্যাসিলিটেটর নেওয়া কথা থাকলেও ভাইবা বোর্ডের পর একজন করে নেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক হাবিবুর রহমান,হাতেম আলি, এজদান আলি, তোফায়েল আহমেদ, শহিদুর ইসলাম, রমজান আলি, সাগর মাহমুদ, পরীক্ষার্থী, জ্বলেমিন হোসেন, আহসান হাবীব, ফয়জুল্লাহ সুমন, সাবরিনা খাতুন, দিপংকর, রিপন, মিলন হোসেন,মিনারুল ইসলাম প্রমুখ। মানবন্ধনে তারা অবিলম্বে এ অবৈধ নিয়োগ বাতিলে দাবী জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।