স্বামীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি? যেভাবে দূর করবেন
আমাদের মন দেখতে পাওয়া যায় না। আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন এক, আপনার সঙ্গী ভেবে নিলো আরেক। এখান থেকেই সৃষ্টি ভুল বোঝাবুঝির। এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলে ধীরে ধীরে তা ডালপালা ছড়াতে থাকে। আর তখন সম্পর্ক ঘিরে থাকে তিক্ততায়। সুন্দর সম্পর্কগুলো এমনই তুচ্ছ কারণে অসুন্দর আর অসহ্য হয়ে যেতে পারে। তাই জেনে নিন ভুল বোঝাবুঝি হলে কী করণীয়-
অধিকাংশ ভুল বোঝাবুঝিই হয় মনগড়া কোনো কারণ থেকে, বাস্তবে যার আদৌ কোনো ভিত্তি থাকে না। হয় আপনি, নয় আপনার সঙ্গী এরকম কোনো একটা মনগড়া কারণ ভেবে নেন। এমন পরিস্থিতিতে শান্ত হয়ে বসুন, বড় করে একটা শ্বাস নিন। এবার ভেবে দেখুন সমস্যাটা ঠিক কী কারণে হচ্ছে। যদি মনে হয়, আপনার সঙ্গী ঠিক করছেন না, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলুন। আর যদি মনে হয় দোষটা আপনারই, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিন। সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।
দুজন মানুষের সমস্ত মতের মিল হবে না এটাই স্বাভাবিক। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার মতের অমিল হচ্ছে মানেই তিনি ভুল আর আপনি ঠিক, তা কিন্তু নয়! তার মতের পিছনের যুক্তিটা বুঝুন, নিজের মতের পিছনের যুক্তিটাও তাকে বুঝিয়ে বলুন। তাকে জোর করে নিজের মত মানতে বাধ্য করবেন না।
সঙ্গীর দুর্বলতার কারণে যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে সেটা নিয়ে বেশি জলঘোলা করবেন না। বরং তাকে তার জোরের দিকগুলো মনে করিয়ে দিন। দুর্বলতা নিয়ে একেবারেই খোঁটা দেবেন না।
ভুল বোঝাবুঝি হলে নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। এখানে ইগোকে একেবারেই জায়গা দেবেন না। শান্তভাবে, বন্ধুত্বপূর্ণ গলায় কথা বলুন যাতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসে। ‘কেন আমি আগে কথা বলব’, এ ধরনের গোঁয়ার্তুমি করলে সম্পর্ক আরো খারাপ হবে।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে বেশিরভাগই তৃতীয় ব্যক্তির সাহায্য নেন। কোনো ক্ষেত্রে দুজনের বাবা-মা বোঝানোর দায়িত্ব নেন, আবার কোনো ক্ষেত্রে বন্ধুরা ঢুকে পড়েন। কিন্তু এতে সমস্যা সমাধানের বদলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাছাড়া যেহেতু এটা একান্তই আপনাদের ব্যক্তিগত সমস্যা, তাই প্রাপ্তবয়স্কদের মতো নিজেদের সমস্যা নিজেরা মেটানোর চেষ্টা করাই ভালো।