বাগেরহাট-৩আসনে ধানের শীষে নির্বাচন করবেন লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-০৩ (মোংলা-রামপাল) আসন থেকে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও ‘সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামকে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ভোর রাত ৪টা ৫০ মিনিটের সময় বিএনপির গুলশানের দলীয় কার্যালয় থেকে তাকে এ মনোনয়ন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। এ আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থীসহ বিএনপি’র মোট ১৩ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও এককভাবেই ড. ফরিদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় দলটি। দীর্ঘ দেড় যুগ পর এ আসন হতে বিএনপি’র কোন একক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এদিকে তাকে মনোনয়ন দেয়ায় মোংলা-রামপালের বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে। লায়ন ফরিদকে মনোনয়ন দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটিতে ১৯৯১ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে বিএনপি (ধানের শীষ), জামায়াত (দাঁড়িপাল্লা), ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি ((ধানের শীষ)) জামায়াত (দাঁড়িপাল্লা), ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি (ধানের শীষ), জামায়াত (দাঁড়িপাল্লা) প্রার্থী পৃথক প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। এরপর ২০০৮ সালে আওয়ামী প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন বিএনপি-জামায়াত জোট মনোনীত একক জামায়াত (দাঁড়িপাল্লা) প্রার্থী। ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ না নেয়ায় এখান থেকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আওয়ামী প্রার্থী নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের উপ-নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্ধিতা না থাকায় আবারো আওয়ামী প্রার্থী নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সাল থেকে এ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী আলাদাভাবে তিনবার নির্বাচন করে পরাজিত হন। এছাড়া ২০০৮ সালে জামায়াতের একক প্রার্থী হেরে যান আওয়ামী লীগের কাছে। একের পর এক জামায়াত প্রার্থী হেরে যাওয়ার কারণেই দীর্ঘ দেড় যুগ বছর আসনটি উদ্ধারে বিএনপির একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এতে সন্তুষ্ট দলের সাধারণ নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ড. ফরিদ বলেন, মোংলা-রামপালের আ’লীগের ঘাঁটি ভেঙ্গে জয় ছিনিয়ে আনতে বিএনপি প্রার্থীর বিকল্প নাই বলেই কেন্দ্রীয় নেতারা সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করেই এককভাবে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এর আগে আওয়ামী প্রার্থীর সাথে জোটগতভাবে নির্বাচন করে জামায়াত প্রার্থী পরপর দুইবার পরাজিত হয়েছেন। এ কারণেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয় লাভের আশা নিয়েই এ এলাকার হাল ধরতে মাঠে নেমেছেন তিনি।
স্থানীয় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা বলেন, ১/১১ পর থেকে মিথ্যা মামলার শিকার এ এলাকার সহশ্রারাধিক বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা-কর্মীদের আর্থিক ও আইনী সহায়তার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করে সকলের মন জয় করেছেন লায়ন ফরিদ। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সেবা করায় দল এবং স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তিনি। তাই নির্বাচনেও তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

মোংলা-রামপালে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৭ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরই রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজারের মত ভোট।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)