নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেই ব্যবস্থা : এস এম মোস্তফা কামাল
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন । নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও প্রার্থীরা যাতে আচরণ বিধি লঙ্ঘন না করে সে ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার এস এম মোস্তফা কামাল শক্ত অবস্থানে। আচরণ বিধি লংঘনের কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তিনি তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
জানাগেছে, সম্প্রতি জেলার আশাশুনি উপজেলায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে এক হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে। সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার অভিযোগ পাওয়ার পরপরি ওই প্রার্থীকে সতর্ক করেছেন।
আজ শনিবার সাতক্ষীরা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে সাতক্ষীরা শহরে এক মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। গতকাল শুক্রবার ফেসবুকের মাধ্যমে জেলা রিটার্নিং অফিসার এস এম মোস্তফা কামাল বিষয়টি জানার পর এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কোন ধরনের সভা, সমাবেশ,মিছিল , শোভাযাত্রা না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বিধায় পূর্বনির্ধারিত জেলা যুবলীগের ওই মিছিল আর হয়নি।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসার এস এম মোস্তফা কামাল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর রাত ১২ টার মধ্যে এ জেলার ৪টি নির্বাচনী এলাকার সকল পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন অপসারিত করার ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশের পর অধিকাংশ এলাকা থেকে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রতিস্থাপিত প্রচারপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা নিটার্নিং অফিসার এস এম মোস্তফা কামাল জানান, আইন সবার জন্য সমান। যদি কোন প্রার্থী অথবা তার সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে তাহলে তিনি যে দলেরই হোক না কেনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিধায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয় এমন যে কোন কার্যক্রম থেকে বিরাত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলেরপ্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আশাশুনিতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ওই প্রার্থীর সাথে কথা বলেছি। তাকে প্রথম বার সতর্ক করে দিয়েছি। যুবলীগের মিছিলের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানার সাথে সাথে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।