কালিগঞ্জে ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানি কর্মসূচির কাজে করছে অনিয়ম ও দুর্নীতি!
কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানির বিরুদ্ধে সরকারি ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রতিবার সরকারি কর্মসূচির লোক দিয়ে তার নিজের জমির ধান কাটা সহ বিভিন্ন প্রকার কাজ করিয়ে নেন। প্রতিবারের মত এবারও কর্মসূচির কয়েক জন লোক দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে তার বাড়ীর ধান ভানানো সহ সকল প্রকার কাজ।
সরেজমিনে ওই ওয়ার্ডের কর্মসূচির কাজের নির্ধারিত স্থানে যেয়ে দেখা যায় ২৮ জনের পরিবর্তে কাজ করছে ১৯ জন। তাছাড়া কর্মসূচির কাজের স্থানে একজন সুপারভাইজার থাকার কথা থাকলেও কারও দেখা মেলেনি। স্থানীয় আহম্মদ আলী, ছালাম মোড়ল, রেজাউল করিম,সবুর,ফিরোজ সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানির কর্মসূচির লোক দিয়ে তার নিজের বাড়ীর বিভিন্ন প্রকার কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। তারপরও ২৮ জন লোক দিয়ে কর্মসূচির কাজ করানোর কথা থাকলেও সে ১৯ জন দিয়ে কাজ করাচ্ছে।
অন্যরা কাজ না করলেও হাজিরা খাতায় তাদের উপস্থিত দেখিয়ে ৪০ দিনের বেতনের টাকা তুলে নিবেন। পরবর্তীতে ভাগবাটোয়ারা করে অর্ধেক টাকা নিবেন ওই ইউপি সদস্য আর কাজ না করেও সরকারি টাকার বাকী অর্ধেক নিবে অনুপস্থিত কর্মসূচির কর্মীরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানি বলেন তার বাড়িতে কর্মসূচির লোক দিয়ে কাজ করানোর কথা অস্বীকার করেন। তবে কর্মসূচীর কতজন লোক কাজ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ২৮ জন লোক কাজ করার জন্য তার ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে তবে ১৯ জন কাজ করছে বাকীরা কাজে করছেনা বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে বিষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন বলেন কর্মসূচির কাজের লোক দিয়ে কোন জনপ্রতিনিধির নিজের বাড়িতে কাজ করানোর সুযোগ নেই তবে কেউ যদি এমন কিছু করে থাকে তাহলে তার দায়ভার তাকে নিতে হবে।
বিষয়টি সর্ম্পকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মিয়ারাজ হোসেন খান বলেন এ বিষয়ে তিনি অবগতনন তবে প্রকল্পের বাইরে কারও কাজ করানোর সুযোগ নেই। তারপরও যদি কোন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।