সুন্দরবনের ৩দিন ব্যাপী রাস উৎসব সমাপ্ত
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের আলোরকোলে শুক্রবার ভোরে সূর্যোদয়ের পর প্রথম জোয়ারে বঙ্গোপসাগরের নোনা পানিতে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ৩ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক রাস উৎসব সমাপ্ত হয়েছে।এ সময় ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৪৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবনে দুবলার চরে রাসপূজা উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী রাসমেলায় ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৪৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। মেলা উপভোগ করার জন্য বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থী অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাসমেলা শেষ হয়।
সাতক্ষীরা সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ জানান, গত ২১ নভেম্বর হতে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের দুবলার চরে হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস পূজা উপলক্ষে রাসমেলায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশন হতে ৫ হাজার ৭৪৭ জন পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থী অংশগ্রহণ করেন। তিনদিনের প্যাকেজে মাথাপিছু ৫০টাকা রাজস্ব দিয়ে মোট ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৪৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। তন্মধ্যে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিস ১ হাজার ১৫০ জনের কাছ থেকে ১লাখ ৯হাজার টাকা, কৈখালী স্টেশন অফিস ১ হাজার ৯৪৫ জনের কাছ থেকে ২লাখ ৩৫ হাজার ৪৯২ টাকা, কদমতলা স্টেশন অফিস ১ হাজার ৪৩২ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৫ টাকা এবং কোবাতক স্টেশন অফিস ১ হাজার ২২০ জনের কাছ থেকে ১লাখ ৫০ হাজার ১২৬ টাকা আদায় করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে দুবলার চরে দর্শণার্থী ও পূণ্যার্থীরা অবস্থান করতে পারবেন না বলে তিনি জানান।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ জানায়, বুধবার সকাল থেকে রাস উৎসবকে ঘিরে আগাত পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে সাগরদ্বীপ আলোরকোল। আলোরকোলে রাস উৎসবে আগতদের যাতায়াতের জন্য সুন্দরবন বিভাগ ৮টি রুট নির্ধারণ করে দিয়। এর মধ্যে শরণখোলা রেঞ্জের বগী স্টেশন-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলারচর হয়ে আলোরকোল এবং শরণখোলা স্টেশসন-সুপতি স্টেশন ও শেলারচর হয়ে আলোরকোলে পৌছায় পূণ্যার্থী ও পর্যটকরা। প্রত্যেক পূণ্যার্থী ও পর্যটকদের ৩ দিন সুন্দরবনে অবস্থানের জন্য ৫০টাকা, নিবন্ধিক ট্রলার ২ শত টাকা এবং অনিবন্ধিত ট্রলারে ৮ শত টাকা রাজস্ব ধরা হয়।