শ্যামনগরে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন
আজ ১৯ নভেম্বর ছিল শ্যামনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে খুলনা বিভাগে প্রথম পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর থানা। এখানে উড্ডয়ন হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। শ্যামনগর কে মুক্ত করতে দেশের বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে। শ্যামনগর গোপালপুর নামক স্থানে এই যুদ্ধ হয় এবং সম্মুখ যুদ্ধে ৪জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ দিবাগত রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী টিকতে না পেরে ঐ রাতেই হানাদার বাহিনী পিছু হটে শ্যামনগর থেকে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনী আর শ্যামনগরে ফিরে আসেনি। ফলে ১৯ নভেম্বর শ্যামনগর সম্পূর্ণ হানাদার মুক্ত হয়। এ দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবারের ন্যয় এবার ও ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি আলোচনা সভা সহ নানা আয়োজন। শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে সকাল ১০ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডলের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে স্থাপিত মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভের পাদ দেশে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুমন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম, এ মজিদ, সাবেক অধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি, প্রমুখ। আলোচনা সভাটি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম।