শার্শায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর আতংকে সাধারণ মানুষ
যশোরের শার্শায় ব্যাপক হারে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। প্রতিদিন এসব বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফলে রাস্তা ঘাটে মানুষ ভয়াভহ আতংকের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন সরকারী ভাবে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না থাকায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুর নিধন না করায় শুধু শার্শা উপজেলা নয় দেশ জুড়ে অলি-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরে ভরে গেছে। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে হিমসিম খাচ্ছে পথচারী সাধারণ সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই উপজেলায় সাংবাদিক ও শিশুসহ প্রায় অর্ধশত মানুষের কামড় দিয়েছে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর। এখন এক প্রকার কুকুর আতংকে বিরাজ করছে এই উপজেলার মানুষের মনে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য সেবালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শার্শা উপজেলার নাভারণ এলাকার
বাসিন্দা রফিক আহমেদ জানান, কুকুর নিধন করতে না পারলে এ বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনে দিনে আরো বেড়ে যাবে। কুকুরের কামরে আক্রান্ত হবে অনেকেই, আহতদের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। তাই কুকুর নিধন করা খুবই দরকার।
শার্শার আহসান হাবিব বলেন, তারা রাতে পায়ে হেটে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এতো পরিমাণের কুকুর যে কে কোথা
থেকে আক্রমণ করে বোঝা যায় না। ওই এলাকায় ইতোমধ্যে কয়েকজনকে কুকুরে কামড় দিয়েছে বলে তিনি জানান। এই উপজেলায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও থেকে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের আক্রমণের কথা
শোনা যাচ্ছে।
এব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও এনামুল হক জানান, প্রতিদিন কুকুরে কামড়ানো আহত রোগী ভ্যাকসিনের জন্য আসছে। এর সংখ্যা এত বেশি হয়ে গেছে যে এমুহূর্তে আমাদের ভ্যাকসিনও শেষ হয়ে গেছে। তবে আশে পাশের বিভিন্ন ফার্মেসী থেকে কুকুরে কামড়ানো রোগীরা ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে চিকিৎসা নিচ্ছেন।