আশাশুনির শাকিল চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফ.আই. আর’র নির্দেশ

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সহ ৪জন পিটিয়ে জখমের ঘটনায় চেয়ার‌্যম্যান শাকিলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এফ আই আর এর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৭নভেম্বর সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজীব কুমার রায় এ নির্দেশ দেন। নির্দেশে তিনি উল্লেখ করেছেন, সার্বিক বিবেচনায় ১২ হতে ১৫ নং আসামীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় এবং দরখাস্তে বর্ণিত ১হতে ১১ জন আসামীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৪৩/১৪৯/৩৪১/৪৪৭/ ৩২৩/ ৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/১১৪/৩৫৪/১০৯ ধারা দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১৫৬(৩) ধারা মোতাবেক আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মামলাটি এফ.আই.আর হিসেবে রুজ করে আদালতে প্রেরণের জন্য আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য: গত ২ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা শামীমুজ্জামান পলাশ, একই এলাকার সুরেশ মন্ডলের ছেলে দিপংক মন্ডল, সোহেল উদ্দীনের ছেলে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জোয়াদ্দারের স্ত্রী সাহিদা খনমকে পিটিয়ে জখম করে চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে তার ছেলে সাদ, ভাই শামীম, রেজাউল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, মহিলা মেম্বর তহমিনা শহীদুল্লাহ, জামায়াত নেতার পুত্র আব্দুল্লাহ সহ কতিপয় ব্যক্তি। সে সময় তারা জি আই পাইপ, লোহার রড, হাতুড়ি ও কুড়াল নিয়ে হামলা করলে জীবন বাঁচাতে পাশ্ববর্তী একটি দোকানে আশ্রয় নিলেও লাভ হয়নি। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাদের বেধড়ক পিটাতে থাকে। এছাড়া হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শামীমুজ্জামান পলাশ ও জাহাঙ্গীরের মাথা থেতলে দেয়। এছাড়া দিপংককে মারপিট করে। এখবর শুনে পলাশের বৃদ্ধামাতা সাহিদা খানম ঘটনাস্থলে আসলে চেয়ারম্যান সাকিলের স্ত্রী শাহাজান নাজনীন ঝর্ণা তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগি পলাশ ও শাহীদা খাতুনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জোয়ার্দ্দার বাদী হয়ে ৭ নভেম্বর শ্রীউলা এলাকার মৃত আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে আবু হেনা শাকিল, মোঃ শামীম, বুড়াখারআটী এলাকার গফুর গাজীর ছেলে এলাহী বক্স, কাকড়াবুনিয়া এলাকার আমির আলীর ছেলে রেজাউল, আবু হেনা শাকিলের ছেলে সৌরভ রায়হান সাদ, মৃত সিরাজ সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনারুল সরদারের ছেলে রোহান, আব্দুর রউফের ছেলে শহিদুল্লাহ, আব্দুর রশিদের ছেলে খায়রুল ইসলাম খোকা, আবু হেনা শাকিলের ছেলে শাহানাজ নাজনিন ঝর্ণা, মাড়িয়ালা এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী তহমিনা খাতুনসহ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আমলী ৮নং আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলটি আমলে নিয়ে ওই দিনই এফ.আই.আর করার নির্দেশ দেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)