রেফারি হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই দিন কাটছে সাতক্ষীরার আঁখি ও সোহানার
রেফারিংয়ে বেশ কিছুদিনের প্রশিক্ষন নিয়েছে তারা। লাভ করেছে সার্টিফিকেটও। এখন চলছে অবিরাম প্রাকটিস। অচিরেই ঢাকায় চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠে হুইসেল বাজাবে আঁখিমনি আর সোহানা। ফিফার আয়োজনে প্রশিক্ষন শেষ করে এই দুই নারী এখন স্বপ্ন দেখছে মাঠে কমান্ড দেওয়ার। সাতক্ষীরার মাঠে তারা সফলতার সাথে শুরু করেছে হুইসেলিং।
আঁখিমনি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার শীতলপুর গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সাতক্ষীরা শহরের কারিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। সোহানা খাতুন সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা গ্রামের ইজি বাইক চালক সিরাতুল মোস্তাকিমের মেয়ে। একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। আঁখি একজন গোল কীপার। আর সোহানা খেলে ডিফেন্সে।
নৈপুন্য আর দুরন্ত ছুটের আঁখি আর সোহানা জানায় তাদের পরিবার ও স্কুল ফুটবলে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। এখন নিয়মিত অনুশীলনে নেমেছে তারা। সাতক্ষীরার খোন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স তাদের প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। আঁখি ফুটবলের গোল কীপার হিসাবে খুলনা বিভাগের চারবারের চ্যাম্পিয়ন। ঢাকায় তাদের দল গ্রুপ চ্যম্পিয়ন হয়েছে। আন্তঃস্কুল ও জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল ও খো খো খেলেছে তারা। আন্তর্জাতিক খেলায়ও অংশ গ্রহনের সুযোগ পেয়েছে সোহানা ও আঁখি। সাফ গেমসের আওতায় আনসার টীম থেকে খো খো খেলে এখন এশিয়ান গেমসে খো খো খেলার ডাক পেয়েছে আঁখি ও সোহানা। তাদের প্রশিক্ষক খোন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স জানালেন তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে সনদপত্র লাভ করেছে। অচিরেই তারা মাঠে নামবে হুইসেল নিয়ে। তাদের বাঁশীতে বল গড়াবে সেদিন।
সোহানা ও আঁখি জানায় তারা সিনিয়র মহিলা ফুটবল টীমের ক্যাপটেন সাতক্ষীরার সাবিনার পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ফুটবলে মাঠ কাঁপিয়েছে সাতক্ষীরার মাছুরা খাতুন, রাজিয়া খাতুন, প্রান্তি, সুরাইয়া , রুমা, রওশনারা , রিক্তা, মুক্তা , সোনিয়া, শারমিন।খো খোতে সাতক্ষীরার আরিফা, সালমা, বক্সিংয়ে প্রাপ্তি , শ্যুটিংয়ে রজনী, শোভা। অ্যাথলেটিকসে শিরিন আক্তার, কাবাডিতে দোলা , পাখি, আঁখি, শারমিন, সাইক্লিংয়ে নাসরিন , মৌসুমী আর থ্রো বলে নিহা , পিংকি ও হাসি কাঁপিয়ে দিচ্ছে সাতক্ষীরা থেকে বাংলাদেশ। কেউ কেউ কাঁপাচ্ছেন বিদেশের মাঠও।
তাদের পথ আঁখি ও সোহানার পথ এ কথা জানিয়ে কবে রেফারি হিসাবে মাঠে বাঁশী বাজাতে পারবে সেই দিনের অপেক্ষায় দুই নারী ফুটবলার ।