বড় লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিন শুরু টাইগারদের

সিলেটে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট লজ্জাজঙ্ক হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টিম বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দিন বড় সংগ্রহ করেই পার করে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিন এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৮.৩ওভারে ৩৩৬ রান। মুশফিকুর রহিম (১১৫*) এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২৬*)।

প্রথম দিন প্রথম আর শেষ সেশনে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানের মাথায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়লেও মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হকের দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরিতে দিন শেষে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩০৩ রান। ম্যাচের শুরুতে সতর্ক থেকে খেললেও ইনিংসের সপ্তম ওভারে বিদায় নেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। পেসার কাইল জারভিসের বলে উইকেটের পেছনে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তিনি। লাফিয়ে উঠা বল ব্যাটের ভেতরের কানায় স্পর্শ করলে ১৬ বলে কোনো রান না করেই বিদায় নিতে হয় ইমরুলকে। দলীয় ১৩ রানের মাথায় বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। স্কোরবোর্ডে আর তিন রান যোগ হতেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। জারভিসের বলে ইনিংসে নবম ওভারে মিডউইকেটে মাভুতার তালুবন্দি হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ৯ রান করেন লিটন।

ইনিংসের ১২তম ওভারে তিরিপানোর বলে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুন। বিদায়ের আগে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। দলীয় ২৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৯ রানে ক্যাচ তুলে দিয়েও জীবন পান মুমিনুল হক। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশ তিন উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৬ রান। দ্বিতীয় সেশনে আর কোনো উইকেট যায়নি। শেষ সেশনে নামার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ২০৭/৩। তার আগেই ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল। তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিক ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান।

তৃতীয় সেশন শেষের কিছু আগেই বিদায় নেন মুমিনুল হক। দলীয় ২৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন মুমিনুল-মুশফিক। তেন্দাই চাতারার বলে ব্রায়ান চারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪৭ বলে ১৯টি বাউন্ডারিতে ১৬১ রান করা মুমিনুল। ইনিংসের ৮৬তম ওভারে আউট হন তিনি। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ২৬৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। ২৯২ রানের মাথায় বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায়। দিনের খেলা এক ওভার বাকি থাকতে বিদায় নেন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম (৪)। দলীয় ২৯৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।

বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয় ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন এবং পেসার খালেদ আহমেদের। বাংলাদেশের প্রথমশ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে অভিষিক্ত হন মিঠুন। ৮৮টি প্রথমশ্রেণির ম্যাচ খেলে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় তার। একাদশে ফিরেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ফলে, সিলেট টেস্টের পর এবার মিরপুর টেস্টে দুই পেসারে ফিরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে জায়গা হয়নি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু, ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং পেসার আবু জায়েদ রাহীর। আগের ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া স্পিনার তাইজুলের সঙ্গী মেহেদি মিরাজ।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, খালেদ আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আরিফুল হক এবং তাইজুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), ব্রায়ান চারি, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেগিস চাকাভা, ব্রেন্ডন মাভুতা, ডোনাল্ড তিরিপানো, কাইল জারভিস এবং তেন্দাই চাতারা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)