নির্বাচনে মাশরাফি, যেভাবে দেখছেন ভক্তরা!
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের সিরিজ নিয়ে নেই তেমন মাতামাতি। জয়-পরাজয়ে নেই আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্তের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফিকে ঘিরে।
চায়ের দোকান থেকে শুরু করে কর্মস্থল, এমনকি দেশে-বিদেশেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মাশরাফি। ক্রিকেট হিরোর রাজনীতিতে আবির্ভাব, কেমন ভাবে দেখছেন দেশ-বিদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরা। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। এর আগে শ্রীলংকার সানাথ জয়সুরিয়া তার খেলোয়াড় জীবনেই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে মর্তুজার পদার্পনই প্রথম।
গতকাল ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে নতুন যাত্রা শুরু করেন মাশরাফি। মনোনয়ন সংগ্রহের পর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবু মুছার সঙ্গে কথা হলে তিনি ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়ানোর বিষয়টি নেতিবাচক ভাবে ব্যক্ত করেন।
ওই শিক্ষার্থী মনে করেন, ক্রিকেটাররা রাজনীতিতে এলে তাদের কাছে ক্রিকেটটা অত্যন্ত কম্প্লিকেটেড হয়ে দাঁড়াবে। তারা খেলার মাঠ দেখবে নাকি রাজনীতি সামলাবে?
অপর এক শিক্ষার্থী মাশরাফির রাজনীতিতে জড়ানোকে ভিন্নভাবে দেখছেন। ওই শিক্ষার্থী মনে করে, ক্রিকেটাররা নতুন প্রজন্মের আইডল। সবাই তাদেরকে ফলো করে। তারা তরুণ প্রজন্মের মনের ভাষাটা বোঝে, তারা কি চায় সেটা জানে, এসব নিয়ে তারা সংসদে আলোচনা করতে পারবে। তাছাড়া রাজনীতির প্রতি তরুণ প্রজন্মের যে অনাগ্রহ, সেটা থেকে তাদেরকে বের করে আনতে পারলে দেশের মঙ্গল হবে।
এদিকে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে অধিনায়ক মাশরাফির রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়টিকে (বিসিবি) সাধারণ ভাবেই দেখছে। এ বিষয় বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, মাশরাফি তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে। তিনি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর খেলা থেকে অবসর নেবেন। এমন কোনো নিয়ম নেই যে কোনো ক্রিকেটার রাজনীতি করলে খেলতে পারবেন না।
তাছাড়া রাজনীতির পাশাপাশি তিনি চাইলে খেলাতেও পারবেন, আমাদের এমন কোন নিয়ম নেই, আমরা তাদেরকে বাঁধা দিতে পারবো। মাশরাফি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য এক মাস থেকে দেড় মাস ব্যস্ত থাকবেন। আশা করি বাকিটা তিনি ম্যানেজ করে নিতে পারবেন।