বিয়ের করতে মাদক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক

বিয়ের মাধ্যমে মানবজীবনে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হয়। দুটি মানব-মানবীর এ বন্ধন যেন সুস্থ হয় সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এটা দুঃখজনক, বিয়ের সময় মাদকাসক্তির বিষয় থাকলে তা গোপন করে রাখা হয়, যার ফলে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই অপরিসীম যন্ত্রণা পোহাতে হয়। মাদকাসক্তির জন্য ডিভোর্সের ঘটনা বর্তমানে উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে।

কাবিন রেজিস্ট্রির আগে বর-কনের রক্তে মাদক ও থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষা এবং দেশের যে কোনো চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব পরীক্ষায় মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। গত সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খাইরুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলীর পক্ষে এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। রিট আবেদনের পক্ষে তিনি সোমবার শুনানি করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। এ ছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ। বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশি পরিষদের তথ্যানুযায়ী, নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অক্ষমতা। ইয়াবা, হেরোইন ও অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবনে তারা পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে।

রিটে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যমান নিকাহনামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় বর-কনের জন্মসনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যৎ সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)