শোভনালী ব্রিজের বিকল্প সড়কের দৈন্যদশায় পরীক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস
আশাশুনি উপজেলার শোভনালীতে মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের বিকল্প সড়কের দৈন্যদশায় পথচারীসহ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে। বিপাকে পড়ে অনেককে আশাশুনি সদর হয়ে কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
শোভনালী ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ২ বছর আগে। এরপর থেকে এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণের নামে দীর্ঘ সূত্রিতায় পড়ে আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও দেবহাটার হাজার হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়ে আছে। ব্রিজ নির্মাণের সময় ব্রিজের পূর্ব পাশে কাঠের সেতু দিয়ে বিকল্প যাতয়াতের ব্যবস্থা করা হয়। তখন থেকে কোন রকমে পথচারীরা যাতয়াত করে আসছে। কিন্তু এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণের নামে খামখেয়ালীপনায় দীর্ঘ ২ বছর কেটে গেছে। এক ব॥চর আগে বাধ্য হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বুধহাটা ও শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যানের উপর উভয় পারের সড়কে মাটি ও ইটের কাজ করিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলের ঝুঁকি কমিয়ে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করান। এক বছর আগে থেকে ঠিকাদার এ্যাপ্রোজ সড়কে মাটি/বালি দিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু না কাজে যেমন গতি ছিলনা, তেমনি সরকারি নিয়ম কানুনকে তুয়াক্কা না করে ভূগর্ভের বালি উত্তোলন করে কাজ করার মহড়া চালিয়ে আসছেন। একদিন কাজ করা হয় তো, দশদিন কাজ বন্দ রাখা হচ্ছে। এসময় যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের চলাচলের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে ব্যাপক অসুবিধা মাথায় নিয়ে মাঝে মধ্যে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করলেও অধিকাংশ সময় বিশেষ করে বৃষ্টি হলেই কিংবা বালু দেওয়ার নামে ভূগর্ভ থেকে বালু-পানি উত্তোলনের মাধ্য সড়কে দেওয়ার ফলে বিকল্প সড়ক পানিতে তলিয়ে বা কর্দমাক্ত হয়ে পথ চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার চাম্পাফুল হাই স্কুল কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া পরীক্ষার্থীরা কর্দমাক্ত পথে পার হতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে যায়। এসময় বাধ্য হয়ে অনেককে আশাশুনি সদর হয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে কেন্দ্রে যেতে হয়। অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকমহলসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।