সাতক্ষীরায় উত্যক্ত করার কারণে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা:উত্যক্তকারী মেহেদী আটক
সাতক্ষীরা সদরের চালতেতলা এলাকায় উত্যক্ত করার কারণে ১০ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্কুল ছাত্রীর নাম চাঁদনী খাতুন(১৭)। সে সাতক্ষীরা সদরের কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও চালতেতলা এলাকার আব্দুল গফফারের মেয়ে।
সোমবার দুপুরে উত্যক্তকারী মেহেদি হাসানকে তার নিজ বাড়ি শহরের বাগান বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ ।আটক মেহেদি হাসান ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আটক বখাটে মেহেদী হাসান স্কুল ছাত্রী চাঁদনিকে স্কুলে আসা-যাওয়া পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। এলাকায় মেয়েটি চলাফেরা করতে পারতো না। বিভিন্ন সময় সে তাকে কুপ্রস্তাপ দিতো। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকালে চাঁদনী সবার অজান্তে নিজ ঘরের মধ্যে আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তারা আরো জানান, আটক মেহেদির বিরুদ্ধে ইতি পূর্বে আরো অন্য মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদনির মা জোহরা খাতুন জানান, আমার মেয়েকে বখাটে মেহেদি প্রায়ই উত্যক্ত করতো। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলে তিনি আরো জানান।
আটক মেহেদির বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, জামা-কাপড় কেনা-কাটা নিয়ে রাতে সে তার মায়ের সাথে ঝগড়া করে। এর জের ধরে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেহেদী হাসান নামের ওই বখাটেকে আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বখাটে মেহেদীর কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তিনি আরো জানান, লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, লাশ দাফনের আগেই বখাটে যুবক মেহেদিকে আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তারা আরো জানান, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা।