কুল্যার মোড়ে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের দোকানে প্রেমিকার অবস্থান
আশাশুনি উপজেলার কুল্যার মোড়ে প্রেমিকের দোকানে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার অবস্থানের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার এ ঘটনা ঘটে।
ফিংড়ী গ্রামের অনার্স ৩য় বর্ষের নাম না প্রকাশের সর্তে এক ছাত্রী জানান, তিনি ও কুল্যা গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র জোবায়ের হোসেন রকি একই ক্লাসে মাধ্যমিকে পড়ালেখা করেছে। এরপর কলেজে ও বর্তমানে সাতক্ষীরা কলেজে অনার্স সে পড়ালেখা করছে। তাদের মধ্যে ৩ বছর আগে থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক অনেক কাছাকাছি পর্যন্ত গড়ে তোলা হয়। দেড় বছর আগে ছেলেপক্ষ মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে সম্পর্ক স্থায়িত্ব করতে চায়। কিন্তু ছেলেপক্ষ আর এগোয়নি। এর কয়েকদিনের মধ্যে ছেলে গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে। কিন্তু মোবাইলে তাদের যোগাযোগ অটুট ছিল। এক মাস ৭ দিন পর তারা পুনরায় একে অন্যের সাথে দেখা সাক্ষাৎ শুরু করে। মেয়ে বিয়ের কথা জানতে পেরে ১৮ জুলাই প্রেমিক রকির কুল্যার মোড়ের দোকানে আসলে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে ছিল। রাতে রকি মেয়েকে দোকানে রেখে দোকান বন্দ করে বাড়িতে যায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মেয়েকে পিতার জিম্মায় দিয়ে দেন। এরপর থেকে তাদের যোগাযোগ থাকলেও একদিন কথা বলতে মেয়ে মোবাইলে রিং করলে রকির স্ত্রী রিসিভ করেন। এনিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কথা বলা বন্দ করে দেয় রকি। বাধ্য হয়ে গতকাল (রবিবার) দুপুর ২ টার দিকে মেয়েটি প্রেমিক রকির দোকানে এসে হাজির হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তখন মেয়ে হয় আজই বিয়ে করতে হবে, না হলে আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। এভাবে সময় পার হওয়ার এক পর্যায়ে মেয়ে পাশের বার্থ রুমে গেলে প্রেমিক দোকানের দরজা আটকে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকা তার প্রেমিকের দোকানের সামনে অবস্থান করছিল। রকির সাথে মোবাইলে কথা বললে জানান, বিয়ের আগে তার সাথে সম্পর্ক ছিল। এখন আর নেই। তার ডিস্টার্বের কারণে আমার তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হয়েছে। সে আগেও একবার আমার দোকানে এসেছিল। এজন্য আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। মান সম্মানের ভয়ে আমি চলে এসেছি।