কলারোয়ার বিজিবি’র ল্যান্স নায়েকের মৃত্যুতে ইউপি সদস্য সহ আটক ৮ :পুরুষ শূন্য ভাদিয়ালী সীমান্ত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চোরাচালানীদের দড়ির ফাঁদে আটকে সীমান্তবর্তী সোনাই নদীর পানিতে ডুবে মারা গেলেন কাকডাঙ্গা বিওপির এক ল্যান্স নায়েক। নিহত ল্যান্স নায়েক রফিক (৩৫) কলারোয়ার কাঁকডাঙ্গা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। শনিবার (২৭অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভাদিয়ালীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তরেখা সোনাই নদীর নিমতলা ১নং পোষ্টে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- বাংলাদেশ ও ভারতের চোরাচালানীরা নদীর পানির নিচ দিয়ে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য দড়ি রেখে দেয়। এই পাশের পণ্য দড়িতে বেধে সেই দড়ি ওই পাশে টেনে নেয়া হয়ে থাকে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদিয়ালীর ১নং পোষ্টের ১৩/৩ ৬আরবি’র সন্নিকটে সোনাই নদীর ধারে টহলরত অবস্থায় চোরাকারবারিদের তাড়া করে তাদের পণ্য উদ্ধার করতে গিয়ে পন্যবাধা দড়ি ধরে ফেলেন কাঁকডাঙ্গা বিওপির ল্যান্স নায়েক রফিক। এ সময় ভারতের পাশ থেকে সেখানকার চোরাচালানীরা ভারতের দিকে দড়ি ধরে ওই পাশে টান দেয়। বিজিবি’র কর্তব্যরত রফিকও দড়ি ধরে বাংলাদেশের দিকে টানতে থাকেন। তখন দড়িতে আটকে ও জড়িয়ে নদীর মাঝ বরাবর পর্যন্ত চলে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় তার। সাথে সাথে খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র অন্য সদস্যরা তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে- নিহত রফিক ১দিন আগেই কাঁকডাঙ্গা ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। সাতক্ষীরা, ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্নেল মহিউদ্দীন আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিজিবি’র ল্যান্স নায়েক রফিক এর মৃত্যুর ঘটনায় বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এক ইউপি সদস্যসহ ৮জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। এর পরে রোববার বেলা ২টার দিকে ওই ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা, ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্নেল মহিউদ্দীন আহম্মেদ ও সিও মোস্তাফিজুর রহমান। আটককৃতরা হলেন-কাকডাঙ্গার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইয়ার আলী (৪৫), ভাদিয়ালী গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩২), দফিকুর রহমান (৫৫), হযরত আলী (৪০), ইসরাইল (২৫), সাঈদ (২২), বুলবুল (৪০), আবু সাঈদ (৩৫)। এদিকে এঘটনার পর থেকে গ্রেফতার আতংকে ভাদিয়ালী সীমান্তে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।