খড়কুটোর মতো উড়ে গেলো জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটিং তাণ্ডবে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো মাশরাফিবাহীনি।
প্রথম ম্যাচে ২৮ রানে জয় লাভের পর দ্বিতিয় ম্যাচে সাত উইকেটে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে সাত উইকেটে জয় তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে তো জিম্বাবুয়েকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতে উঠলেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার।
আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাছে হোয়াইট ওয়াশের মিশনে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সফরকারীদের চেপে ধরে দুই পেসার আবু হায়দায় রনি ও সাইফউদ্দীন। ৬ রানেই দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর দলের হাল ধরেন শেন উইলিয়ামস ও ব্রেন্ডন টেইলর। টেইলর ৭৫ রানে ফিরে গেলেও শতক তুলে নিয়ে ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন উইলিয়ামস। মূলত এই দুইজনের ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে ৫ উইকেটে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে নাজমুল ইসলাম অপু ২ উইকেট লাভ নেন।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে লিটন দাসের উইকেট হারাইয় বাংলাদেশ। তবে টেইলর ও উইলিয়ামসের ব্যাটিংয়ের কড়া জবাব দেয়া শুরু করেন দুই বাঁহাতি ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। প্রথম দশ ওভারেই তুলে ফেলেন ৮০ রান। এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ের সামনে রীতিমত দিশেহারা হয় সফরকারীরা।
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ৭২ রানের ইনিংস খেলে শুরু। ইমরুল কায়েস সেই ফর্মকে টেনে এনেছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজেও। প্রথম দুই ম্যাচে ১৪৪ ও ৯০ রানের ইনিংসের পর আজো খেলেছেন ১১৫ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। এই সিরিজে যেন নিজেকে রান মেশিনে পরিণত করেছেন ইমরুল। মোট ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে তিন ম্যাচ সিরিজে তামিমের করা ৩১২ রানের রেকর্ড ভেঙ্গে দেন ইমরুল। তিনি আজকের ইনিংসকে সাজিয়েছেন ১০ চার ও ২ ছক্কায়।
অন্যদিকে জাতীয় লিগ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুন ব্যাটিং করে ফর্মের আভাস দেয়া সৌম্যকে দেখা গেলো সেই পুরনো রুপে। শুরুতে ধরে খেললেও এরপর ঝড় তুলতে থাকেন তিনি। ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ১১৭ রানে আউট হন সৌম্য। এর ফলে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
২৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রাকে বাংলাদেশ ছুয়ে ফেলে ৭ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন সৌম্য সরকার এবং ম্যান অব দ্যা সিরিজ নির্বাচিত যথারীতি ইমরুল কায়েস।