নারকেল ও তিলের নাড়ু
অবসরে হাঠের মুঠোয় দু’চারটে নাড়ু নিয়ে খেতে সকলেই ভাল লাগে। পূজা-পার্বণে নাড়ুর চল বেশি থাকলেও অন্যান্য সময়েও অনেকের ঘরে শুকনো খাবার হিসেবে নাড়ু সংরক্ষণ করা হয়। এটি সকলেরই খুব প্রিয় একটি খাবার। আর পুজোর সময় হিন্দুদের সব ঘরে ঘরে নাড়ু বানানোর আয়োজন থাকে। তাই নারকেল ও তিলের নাড়ু বানানোর সহজ পদ্ধতি জেনে নিন-
নারকেলের নাড়ু
উপকরণ: নারকেল কোড়ানো ১ কাপ পরিমাণ, খেঁজুর গুঁড় দেড় কাপ পরিমাণ (খেঁজুর গুঁড় না থাকলে এটা আখের গুঁড় দিয়েও করা যাবে), সাদা তিল এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ, ঘি ১ চা চামচ।
প্রণালী: চুলার আঁচ মিডিয়াম রেখে প্যানে গুঁড় ও নারকেল জ্বাল দিতে হবে। তাপ পেলে নারকেল যেমন পানি ছাড়ে তেমনি গুঁড়ও পানি ছাড়তে থাকে। তাই একদমই পানি ব্যবহার না করে এটা নাড়তে হবে। যখন সব গুঁড় গলে নারকেলের সঙ্গে মিশে যাবে তখন তিল দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজতে হবে। এগুলো অনবরত নেড়ে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। পানি শুকিয়ে আসলে এক চা চামচ পরিমাণ ঘি দিতে পারেন। তবে খুব ভালো একটি ফ্লেভার আসবে। তারপর কিছু সময় নাড়া চাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। এটা গরম গরম থাকা অবস্থায় নাড়ু বানিয়ে নিতে পারলে ভালো হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন, ঠান্ডা না হয়ে যায়। কারণ ঠান্ডা হলে গোল গোল আকার ঠিকভাবে হবে না। খুলে খুলে যাবে আর নরম হবে না। গোল গোল করে সব গুলো নাড়ু তৈরি করে নিতে হবে। এভাবে খুব সহজেই বাসায় তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার গুঁড় দিয়ে নারকেলের নাড়ু।
তিলের নাড়ু
উপকরণ: তিল ১ কাপ, খেঁজুরের গুঁড় দেড় কাপ, নারকেল কোকড়ানো এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ, ঘি ১ চা চামচ।
প্রণালী: প্যান গরম করে গুঁড় ও তিল নিতে হবে। এগুলো মিডিয়াম আচে জ্বাল দিতে হবে ও অনবরত নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে। নাহলে নিচে লেগে যেতে পারে। জ্বাল দিলে গুঁড় গলে যায় তাই পানি দেয়ার কোনো দরকার নাই। এভাবেই নেড়ে চেড়ে জ্বাল দিয়ে গুঁড়ের পানি কিছুটা শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর নারকেল কোকড়ানো দিয়ে আবার নেড়ে মিশিয়ে দিতে হবে। চুলার জ্বাল একটু বাড়িয়ে দিয়ে পানি শুকিয়ে নিতে হবে। এক চা চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে কিছু সময় নাড়া চাড়া করে নামিয়ে নিতে হবে। এবার এগুলো গরম থাকা অবস্থায় গোল গোল আকারে নাড়ু বানিয়ে নিতে হবে। এভাবেই খুব সহজে তিলের নাড়ু বানিয়ে নিতে পারেন।