ইমরুলের বীরত্বে বিশাল লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং বীরত্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রানের ২৭১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৫০ রান করেছেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া ৩৭ রান এসেছে মিথুনের ব্যাট থেকে।

মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। নিয়ন্ত্রিত বোলিং উপহার দেয় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় ৪ রান করা লিটনকে সাজঘরে ফেরত পাঠান টেন্দাই চাতারা। এরপরই চাতারার শিকার হন অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি। রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

মুশফিক কিছুটা সাবধানে খেলে বিপর্যয় রোধ করেন। তবে দলীয় ৬৬ রানে মুশফিক বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে টাইগাররা। ১৫ রান সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর ইমরুল ও মিথুনের জুটিতে ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ। কিন্তু ১৩৭ রানের মাথায় ৭১ রানের এই জুটি ভেঙ্গে যায়। ৩৭ রান করা মিথুনকে তুলে নন জার্ভিস। এরপর মাহমুদুল্লাহও জার্ভিসের শিকার হন রানের খাতা খোলার আগেই। মিরাজও যোগ দেন আউট হওয়ার মিছিলে। ফলে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চরম চাপে পড়ে টাইগাররা।

সেখান থেকেই দলের হাল ধরেন ইমরুল ও সাইফউদ্দিন। শুরুতে বেশ সাবধানে খেলতে থাকেন। এরপর ধীরে ধীরে রানের চাকা সচল করেন দুই ব্যাটসম্যান। এরকম চাপের মুখেই অনবদ্য এক সেঞ্চুরি তুলে নেন টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস। একপ্রান্তে প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ঠান্ডা মাথায় ১১৮ বলে তুলে নেন নিজের ওয়ানডে শতক। এরপর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। চার ও টি ছয়ের মার মেরেছেন এই ইনিংসের পথে। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের সেরা রানের ইনিংস উপহার দেন সাইফউদ্দিন। শেষদিকে এসে প্রচন্ড আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তারা। একের পর এক চার-ছয়ে দ্রুত রান যোগ হয় স্কোরে। ইমরুল ১৪৪ রানে আউট হলে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করা সাইফউদ্দিন। পরে মাশরাফি ও মোস্তাফিজের ফিনিশিংয়ে ২৭১ রানের বিশাল স্কোর পায় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২৭১/৮ (৫০ ওভার শেষে)
ইমরুল ১৪৪, সাইফউদ্দিন ৫০
জার্ভিস

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)