পুরনো সৌম্যের ঝলকে উড়ে গেলো জিম্বাবুয়ে
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বর্তমানে অবস্থান করছে বাংলাদেশে। সিরিজ শুরুর আগে (শুক্রবার) বিসিবি একাদশের বিপক্ষে গা গরমের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামে সফরকারীরা। তবে প্রস্তুতি খুব একটা সুবিধাজনক হল না মাসাকাদজাদের জন্য। প্রথমে বাংলাদেশি পেসারদের বোলিং তোপে ১৭৮ রানে অলআউট হয় তারা। এরপর বোলিংয়েও একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি তারা। মূলত সৌম্য সরকারের তাণ্ডবের সামনে আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা পরিষদের (বিকেএসপি) তিন নাম্বার মাঠে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। প্রথম চার ওভারের মধ্যেই হারায় ২ উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। এক পর্যায়ে ৪৭ রানেই হারায় ৫ উইকেট। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মাসাকাদজা এবং চিগুম্বুরা। তাদের ১২৪ রানের উপর নির্ভর করেই ১৭৮ রানের স্কোর গড়ে।
পেসার ইবাদাত হোসেন নেন ৫ উইকেট, এছাড়া সাইফউদ্দীন নিয়েছেন ৩ উইকেট। জিম্বাবুয়ের পক্ষে মাসাকাদজা শতকের দেখা পেয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিজানুর রহমান ও সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ফজলে রাব্বী খুব একটা ভালো করতে পারেননি। মিজানুর রহমান কাটা পড়েছেন রান আউটে। অন্যদিকে ফজলে মাহমুদ রাব্বী সিকান্দার রাজার বলে মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এরপরই মূলত শুরু হয় সৌম্য সরকারের তাণ্ডব। প্রথমে রয়েসয়ে রান তুললেও ক্রমান্বয়ে ঝড় তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত ১০২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। এই শতকের মাধ্যমে ফর্মে ফেরার আভাস দিয়ে রাখলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২১ অক্টোবর মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ও সফরকারীরা। সিরিজের শেষ দুটি ওয়ানডে গড়াবে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচই বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে।