দেবহাটার ঘলঘলিয়ায় জাতীয় পতাকা ছাড়া চলছে মাদ্রাসার কার্যক্রম
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা। আর এই পতাকা সরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক টানানোর কথা থাকলেও। অধিকাংশ সময় না টানিয়ে দেবহাটার ঘলঘলিয়ায় দাখিল মাদ্রাসায় চলছে কার্যক্রম। মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল্লাহ নারী কেলেঙ্কারীতে এলাকা থেকে বিতাড়িত হওয়ায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি মোশারফ হোসেন তিনি ভারপ্রাপ্ত সুপারের দাযিত্ব পালন করে চলেছেন।
মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা নতুন সুপার নিয়োগ তো দুরের কথা ঐ কর্মচারীকে দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনাসহ যাবতীয় হিসাব নিকাশ করে চলেছে। এমনকি ছাত্রদের পরীক্ষার প্রবেশ পত্রে আব্দুল্ল্যার স্বাক্ষর নকল করে চলেছেন মোশারফ হোসেন।
এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা বিষয়টি জানার স্বত্তেও নির্বাকার দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, কয়েক বছর পূর্বে এই মোশারফ হোসেন কয়রা থেকে ইমামতির করার সুবাদে সাতক্ষীরার দেবহাটায় আসেন। পরবর্তীতে জামায়াতের নের্তৃবৃন্দদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর ঘলঘলিয়া মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে যোগদান করে। কিছুদিন পর নারী কেলাঙ্কারির অপরাধে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল্ল্যাহ কে এলাকা থেকে বিতারিত করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় চেপে বসে মোশারফ হোসেন। সু-কৌশল খাটিয়ে নানা অনিয়মে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ঘলঘলিয়া, পাচপোঁতা, রহিমপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ কাটা, অগ্নিসংযোগ চালানোর অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
কিন্তু মোশারফ হেসেন কৌশল খাটিয়ে নাশকতা, সহিংসতা মামলা থেকে পরিত্রাণ পেয়ে যান। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হলে ভোলপাল্টিয়ে বর্তমানে উপজেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদকের দাবি করে যাচ্ছে তিনি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের শির্ষ পর্যয়ের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ করা হলে সাংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন জানান ওলামালীগের কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়নি। কেউ যদি মিথ্যা পরিচয় দেয় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। একিষয়ে মোশারফ হোসেন জানান, পতাকা তুলতে ঝামেলা হয় তাই মাঝে মাঝে টানানো হয় না। তবে, সুপার না থাকায় আমি মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করছি। বিষয়টি সবাই জানে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই রকেট জানান, বিষয়টি আমি খোঁজ নিব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ জানান, জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হলে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।