সাতক্ষীরা পৌরসভার ডাস্টবিন অব্যবস্থাপনায় পরিবেশ দূষণ !
শহরের সরকারি এলাকার আব্দুল করিম জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার দায়িত্ব প্রতিদিন সূর্য উঠার আগেই ডাস্টবিনের এসব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে ফেলার কথা থাকলেও। কিন্তু পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা তা করছে না। তারা সকাল ৮টার পরে ছাড়া ময়লা সরাতে আসছে না। ফলে সকালের বাতাস দ্রুত দূষিত হচ্ছে। এলাকার বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ওই এলাকা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। এলাকার ব্যবসায়ীরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, জনগণের জনসচেতনতার অভাব কর্তৃপক্ষের অবহেলা, চরম অব্যবস্থাপনা ও উদাসীনতার কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কের উপর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পৌর এলাকায় বসবাসরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। সাতক্ষীরা পৌর সভার পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক ইদ্রিস আলী বলেন, সাধারণ মানুষের কিছুটা গাফিলতি আছে। সে কারণে তার ডাস্টবিন ব্যবহার না করে রাস্তায় বর্জ্য ফেলছে এতে করে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। এছাড়া অনেক প্রভাবশালী বাড়ি তৈরীর সময় ডাস্টবিন গুড়িয়ে দেয়। এতে করে পৌর এলাকার ডাস্টবিনের সংখ্যা কমে গেছে। তবে কেউ জায়গা দিলে আমরা ডাস্টবিন তৈরী করে দেব।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ. ন. ম গাউসার রেজা বলেন, ময়লা আর্বজনা বাতাস দুষণ করে ও পানি নিস্কাশনের সমস্যা হয়। জীবাণু ছড়ায়, বায়ু ও মাটি দুষণ করে। ময়লা আর্বজনা যত্রতত্র পড়লে পানি দূষণ করে। এর মাধ্যমে রোগ জীবাণু ছড়ায়। বর্জ্য যে কোন এলাকার জন্য দৃষ্টি হানিকর। এছাড়া হাসপাতাল বর্জ্য পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিকর।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান বলেন, ডাস্টবিনের ময়লা আর্বজনার পচা দুর্গন্ধে ছোয়াছে রোগ, ফুসফুস রোগাক্রান্ত হতে পারে। যাদের নাকে এই দুগন্ধ যাবে, তারাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। ডাস্টবিন অব্যবস্থাপনার কারণে পৌর এলাকার অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে।
সাতক্ষীরার পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি জানান,এ বিষয়ে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।