বাংলাদেশে দুর্গা পূজা দেখতে ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীর উপচে পড়া ভিড়
এবার বাংলাদেশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় ভ্রমণেচ্ছুদের চাপ অন্য বছরের চেয়ে বেশি।দুর্গাপূজার ছুটি কাটাতে ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে আসছে তারা।আজ ১৫ ই (অক্টোবর)রোজ সোমবার, কোলকাতার দমদমের উত্তম চৌধুরী স্ত্রী রিনা চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান রাজদ্বীপ চৌধুরীকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, বেনাপোলে কথা হয় তাদের সাথে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী সুকুমার দত্ত ”সাংবাদিকদের”কে বলেন, পূজায় আনন্দ করতে বরিশাল শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছি।
পূজার সময় কখনো আসতে পারেনি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সরকারি কর্মীদের টানা ১৩ দিনের ছুটি দিয়েছে। তাই শ্বশুর বাড়ির আত্নীয়-স্বজনদের সাথে পূজাটা খুব ভাল কাটবে।”কলকাতার চাঁদনী চক এলাকার রাঘব বসু (৪২), মসলন্দপুর প্রবীর ঘোষ (৩৮) ও উত্তর চব্বিশপরগনা, রানাঘাটের তারক দত্ত (৪১) সপরিবার বাংলাদেশের হিন্দু তীর্থস্থানগুলো দেখার জন্য এসেছেন। রাঘব বসু বলেন, সরকারি চাকরি করি, তাই ঘুরে বেড়ানোর সময় পাই না, পরিবারে সময় দিতে পারি না। এবার পূজার লম্বা ছুটি থাকায় খুলনায় বেড়াতে যাচ্ছি। সেখানে কিছু আত্মীয় আছেন, তাদের সঙ্গে দেখা করব।সে আরো বলেন, খুলনার বাগেরহাটের হাকিমপুরের শিকদার বাড়িতে গড়া ৭০১টি প্রতিমা নিয়ে বিশাল দুর্গাপূজার আয়োজন দেখার ইচ্ছা রয়েছে বলেও তিনি জানান।ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি সংখ্যক ভারতীয় ছুটি কাটাতে বাংলাদেশে যাচ্ছেন।ভারতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দীপাবলি বা কালীপূজা হলেও দুর্গোৎসব বাংলাদেশেই বেশি আনন্দপূর্ণ হয়। মসলন্দপুরের প্রবীর ঘোষ ও তার স্ত্রী ঢাকার নারায়ণগঞ্জ যাবেন আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে।
প্রবীর ঘোষ বললেন, “শ্যামবাজারের গকুল চন্দ্র স্টেটের মন্দিরের নাম শুনেছি দেখা হয়নি ওখানে যাব, পুজো দেব, আত্মীয়-স্বজনের সাথে এবার পুজোটা জমিয়ে করব।” রানা ঘাটের তারক দত্ত বলেন, কাজের চাপে এত দিন সময় করে উঠতে পারিনি। এপারে আসলাম বাংলাদেশি আত্মীয়-স্বজনদের সাথে পূজার উৎসব ভাগাভাগি করতে। একই সাথে বাংলাদেশের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার ইচ্ছাও রয়েছে। তারক দত্তের ছেলে স্বপন দত্ত বলেন, আমি বাংলাদেশে কখনো আসিনি, এবারই প্রথম। আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। পূজোর কটা দিন খুব মজা করব। বাংলাদেশের হিন্দু তীর্থস্থানগুলো দেখার ইচ্ছাও রয়েছে।বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাশার ” সংবাদিকদের” বলেন এবার বাংলাদেশ বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় ভ্রমণেচ্ছুদের চাপ অন্য বছরের চেয়ে বেশি।দুর্গাপূজার ছুটি কাটাতে ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে আসছে তারা ।