যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলেন এস কে সিনহা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। সে দেশের সরকার তাকে ইচ্ছেমতো যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এবং কাজের অনুমতিও দিয়েছে। দেশের জাতীয় শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো সিনহার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সংক্রান্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কূটনৈতিক সূত্রমতে, গত সপ্তাহে একটি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এস কে সিনহাকে নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে। বিস্তৃত এবং একান্ত (ক্লোজ ডোর) ওই আলোচনায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধি, কংগ্রেস প্রতিনিধি, থিঙ্কট্যাঙ্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তায় কাজ করা সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এর পরপরই এস কে সিনহার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়। সম্প্রতি এস কে সিনহা তার বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার কথা জানান। তবে সূত্র বলছে, এস কে সিনহা এখনো তার ট্রাভেল ডকুমেন্ট হাতে পাননি। তিনি এর অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে সাম্প্রতি সময়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, দেশে ফিরলে মামলার মুখোমুখি হতে হবে, এই ভয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। আদালতের মাধ্যমেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থপাচার, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। তার বিরুদ্ধে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে প্রায় ৪ হাজার স্কয়ার ফিটের ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে তিনতলা বাড়ি কেনার খবরও প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। বাড়ি কেনায় কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে দুদক।
অন্যদিকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে,রায় নিজের পক্ষে দিতে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন সিনহা।
আইনমন্ত্রী জানালেন,দেশে আসলে মামলার সম্মুখীন হতে হবে এই ভয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।
দায়িত্বপালন কালে উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারায় ব্রকোন ড্রিম বইয়ে এসকে সিনহা সরকার ও বিচারবিভাগ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী।